ঋণ বাজারের সংকট কাটিয়ে উঠছে ভারত

প্রকাশ: ডিসেম্বর ১২, ২০১৯

বণিক বার্তা ডেস্ক

সতর্ক ঋণগ্রহীতাদের জন্য ভারতের ঋণ বাজারের সংকট ক্রমে প্রশমিত হতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলো বেসামাল অবস্থায় থাকায় পরিস্থিতি নিয়ে এখনো উদ্বেগ বিদ্যমান রয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ।

গত বছর আকস্মিকভাবে ধসের শিকার হয় ভারতের অন্যতম ছায়া ব্যাংক ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলঅ্যান্ডএফএস) গ্রুপ। এরপর থেকে ঋণ বাজারের ধস রোধে কাজ করে চলেছেন নীতিনির্ধারকরা।

পরিস্থিতিতে দেশটির ঋণ বাজারের ক্রমান্বয়ে ঘুরে দাঁড়ানো নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আশা তৈরি করেছে। সম্প্রতি শীর্ষ করপোরেট বন্ডগুলোর স্প্রেড সংকুচিত হয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংকট পূর্ববর্তী পর্যায়ের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

তবে সংকট কাটিয়ে উঠতে এখনো দেরি আছে। নিম্ন-ঋণমানের (লোয়ার-রেটেড) কোম্পানিগুলোকে এখনো নগদ সংকট ক্রমবর্ধমান ঋণ ব্যয় নিয়ে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এদিকে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে দশমিক শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ছয় বছরের সর্বনিম্ন। ঋণমানকারী সংস্থা কেয়ার রেটিংসের একটি সূচক অনুসারে ভারতের করপোরেট খাতের আর্থিক স্বাস্থ্য সাত বছরের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।

তবে সম্প্রতি ছায়া ব্যাংকিং খাতের নগদ সংকট দূর হওয়ার কিছু আভাস পাওয়া যাচ্ছে। উল্লেখ্য, রাস্তার ক্ষুদ্র বিক্রেতা থেকে শুরু করে আবাসন টাইকুন পর্যন্ত যে কেউই ভারতের ছায়া ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।

ভারতের ঋণ বাজার প্রসঙ্গে মুম্বাইভিত্তিক ঋণমানকারী সংস্থা আইসিআরএ লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনলি গুপ্তা বলেন, ধারাবাহিক ঋণ খেলাপের ঘটনা বিনিয়োগকারীদের খাদের কিনারে দাঁড় করে রেখেছে।

অ্যালটিকো ক্যাপিটাল ইন্ডিয়া লিমিটেড রিলায়েন্স ক্যাপিটাল লিমিটেডসহ বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণখেলাপি হয়ে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীরা তুলনামূলক নিরাপদ সম্পদে বিনিয়োগ স্থানান্তর করে নিয়েছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫