২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে রেকর্ড কফি উৎপাদন হয়। বাজারে বাড়তি সরবরাহে পানীয় পণ্যটির অব্যাহত দরপতন শুরু হয়। কিন্তু এবার পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশন (আইসিও) জানিয়েছে, উৎপাদন হ্রাসের বিপরীতে চাহিদা বৃদ্ধির জেরে ২০১৯-২০ মৌসুমে বাজারে কফির বৈশ্বিক ঘাটতি দাঁড়াবে ৫ লাখ ২ হাজার ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি)। খবর মার্কেট ওয়াচ ও কমোডিটি অনলাইন।
আইসিওর প্রতিবেদনে বলা হয়, কফির বৈশ্বিক ব্যবহার প্রবৃদ্ধির গতি খুব বেশি না, তা সত্ত্বেও এবার পণ্যটির বৈশ্বিক ব্যবহার উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এদিকে সরবরাহ ঘাটতির শঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে পানীয় পণ্যটির দাম বাড়তে শুরু করেছে। নভেম্বরে আইসিও কম্পোজিট সূচকে গত ১২ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রতি পাউন্ড কফির দাম ১০০ সেন্টের উপরে উঠে যায়। এদিকে অক্টোবরে পণ্যটির বৈশ্বিক রফতানি দাঁড়িয়েছে ৮৯ লাখ ১০ হাজার ব্যাগ, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
প্রতিষ্ঠানটির আগের মাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯-২০ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে মোট ১৬ কোটি ৭৪ লাখ ব্যাগ কফি উৎপাদন হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৯ শতাংশ কম। এ সময় বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিলে প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন কমে ৪ কোটি ৯০ লাখ ব্যাগে নামতে পারে। গত বছর দেশটি ৬ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ব্যাগ কফি উৎপাদন করে রেকর্ড করেছিল।
মূলত তিন বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে কফির দামে মন্দা বজায় রয়েছে। এতে পণ্যটির উৎপাদন খরচ তোলাই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে চাষীদের। ফলে পণ্যটির আবাদে অনাগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। এছাড়া বৈশিষ্ট্যগতভাবে এক মৌসুমে ভালো ফলনের পর পরের মৌসুমে তো কমে যায়। ফলে গত মৌসুমে রেকর্ড ফলনের পর এবার পানীয় পণ্যটির ফলন কমে আসবে।