গণমাধ্যমকর্মীরা আইনি সুরক্ষা পাবেন: ড.হাসান মাহমুদ

প্রকাশ: ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ভবিষ্যতে ‘গণমাধ্যম কর্মী আইন’ হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে সমস্ত গণমাধ্যমকর্মীদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব। প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সবাই এর মাধ্যমে সুরক্ষা পাবেন। কোন কর্মীকে ছাঁটাই করা হলে এই আইনের আওতায় তিনিও আইনি সুরক্ষা পাবেন। গত শুক্রবার রাতে নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের একযুগ পূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যে আইনের মাধ্যমে ওয়েজবোর্ড হয়েছে, সে আইনে অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ নেই। সেটি করতে হলে আইন সংশোধন করতে হবে, না হলে নতুন আইন করতে হবে। একসময় সাংবাদিকদের শ্রমিক বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা তা সংশোধন করেছি। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব সমস্যা এক যুগে সমাধান হয়নি তা ছয় মাসে সমাধান করেছি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ টেলিভিশন বাংলাদেশে প্রদর্শন করা হতো। এখন ভারতেও বাংলাদেশী চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে। ক্যাবল অপারেটররা ডিটিএইচ এর মাধ্যমে যে সম্প্রচার করছে, অতীতে সেটিকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। আমরা ডিজিটালাইজড করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি। 

তিনি আরো বলেন, অন্তত ১০ লাখ ভারতের অবৈধ ডিটিএইচ বাংলাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৫ ডিসেম্বর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিদেশী ডিটিএইচ দিয়ে যদি সম্প্রচার করা হয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর মাধ্যমে ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকা হুন্ডি হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে টেলিভিশন চ্যানেল ঢাকাকেন্দ্রিক থাকবে না; বিকেন্দ্রীকরণের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। 

ইনডিপেনডেন্ট টিভি’র ব্যুরো প্রধান অনুপম শীলের সঞ্চালনায় চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমদ সাজিবসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫