পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশা

বন্ধু ভারত আতঙ্ক সৃষ্টির মতো কিছু করবে না

প্রকাশ: ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা, বন্ধুপ্রতিম ভারত এমন কিছু করবে না, যাতে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বরং বন্ধুত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারত এগিয়ে যাবে। উভয় দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে।

গতকাল সকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ৪৮তম বার্ষিক উপলক্ষে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেন। সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। সংগ্রামে ভারতের বহুমাত্রিক অবদানের বিস্তারিত আলোচনা ছাড়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পূর্ণ।

বীরাঙ্গনাদের ত্যাগের কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ। তিনি বলেন, ডিসেম্বর বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিশেষ একটি মাস। মাসে তারা দুর্দশা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছিল। ভারত তার নিজস্ব সম্পদের ওপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি করে প্রায় এক কোটি নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছিল এবং ভারতের সেনারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিল। বন্ধুরা একে অপরের জন্য এটাই করে। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে সম্মান জানিয়ে ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচ বছরের ভিসা, আর্মড ফোর্সেস হাসপাতালে বিনা মূল্যে চিকিৎসা তাদের সন্তানদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে।

৪৮ বছরে বাংলাদেশের উন্নতি অনেক দেশের কাছে ঈর্ষার বিষয়ে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, আমরা বাংলাদেশের উন্নতিতে নিজেদের জন্য বড় রকমের অর্থনৈতিক সুযোগ দেখি। কারণ আমরা দুজনে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারিএটা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন দুই সরকারের গৃহীত বহু পদক্ষেপের ক্ষেত্রে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো বলেও মন্তব্য করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। নরেন্দ্র মোদির সাবকা সাত, সাবকা বিকাশ উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমাদের কাছে প্রতিবেশী প্রথম এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে।

অনুষ্ঠানে আরো বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। সরকারি হিসাবে দুই লাখ এবং বেসরকারি হিসাবে


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫