আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার মামলার শুনানির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোল ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এটা আদালত অবমাননার শামিল। তারা আদালতে রণাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন, এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয় যে রাজনৈতিকভাবে সরকার মুক্তি দিতে পারে, এটা হলো দুর্নীতির মামলা। দুর্নীতির মামলায় সরকারের কিছু করার নেই। এটা আদালতের বিষয়।
গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত দপ্তর উপকমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে বিএনপি কথায় কথায় বলে রাজনৈতিকভাবে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে, বন্দি করে রাখা হয়েছে। এগুলো মিথ্যা এবং সত্যের অপলাপ। বিষয়টি তারা জেনে-শুনেই বলছে।
তিনি বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপির আইনজীবীরা রণাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন, এটা সবাই দেখেছে। আদালতের ভেতরে শেষ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতিকে কমেন্ট করতে হয়েছে। আমি এমন ঘটনা কখনো দেখিনি। বাড়াবাড়িরও একটা সীমা আছে—এমন কমেন্ট তিনি (প্রধান বিচারপতি) করেছেন। আমি মনে করি, আদালতের ভেতরে আদালত কক্ষে তারা যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন, হট্টগোল তারা করেছেন, সেটা ক্ষমার অযোগ্য।
বিএনপির ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের দগদগে ব্যর্থতা আন্দোলনে-নির্বাচনে, এ ব্যর্থতার কোনো সীমা নেই। তারা রাজনীতিতেও ব্যর্থ, সাংগঠনিকভাবেও ব্যর্থ। দলের নেতৃত্বের ডাক আসে টেমস নদীর তীর থেকে। বাংলাদেশের বাস্তবতার ক্ষেত্রে তাদের নেতৃত্বের নির্দেশের কোনো মিল নেই। তাদের দলের অভ্যন্তরে একেকজন একেক কথা বলেন। কেউ বলেন দুর্বার আন্দোলন ছাড়া মুক্তি নেই, আবার কেউ বলেন আন্দোলন করার সময় এখনো হয়নি। তাদের নেতৃত্বের মধ্যে আন্দোলনে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে নানা কথা।
বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা এখন আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, তাদের এখন এ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে ঘোলা