পদকের মূল লড়াই শুরুর দিনেই স্বর্ণের হাসি ছিল তায়কোয়ান্দো থেকে দিপু চাকমার কল্যাণে। পরদিন কারাতে থেকে স্বর্ণ পান মারজান আক্তার প্রিয়া, হুমায়রা অন্তরা ও আল-আমিন। এরপর থেকে স্বর্ণপদকের পথটা হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ! টানা চতুর্থ দিনের মতো রুপার পদকেই সান্ত্বনা খুঁজতে হলো লাল-সবুজদের।
গতকাল গেমসের ষষ্ঠ দিনে মেয়েদের শুটিং ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে রুপা জিতেছেন আরদিনা ফেরদৌস আঁখি। এর আগে মেয়েদের দলগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জপদক পায় বাংলাদেশ। নারীদের ভারোত্তোলন ৭১ কেজি ওজন বিভাগে রুপা পান রোকেয়া সুলতানা সাথী। ছেলেদের ৮৯ কেজি ওজন বিভাগে শাখায়েত হোসেন একই পদক পান। ছেলেদের গলফ একক ইভেন্টে রুপা পান মোহাম্মদ ফরহাদ, রুপা আসে ছেলেদের দলগত ইভেন্টেও। নারীদের একক ইভেন্টে রুপা পান জাকিয়া সুলতানা; একই পদক আসে নারীদের দলগত ইভেন্টেও।
কাঠমান্ডুর সাতদোবাতো ক্রীড়া কমপ্লেক্সে শুটিংয়ে নারীদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে স্বর্ণপদক না পেলেও চওড়া হাসি ছিল আরদিনা ফেরদৌসের মুখে। কারণ পিস্তল ইভেন্ট থেকে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশী নারী শুটার এসএ গেমসে রুপা গলায় তুললেন। তা করার পথে ২৩৪.৬ স্কোর করেন এ শুটার। ২৩৮.৪ স্কোর করা ভারতের পরমানানথাম স্বর্ণপদক পেয়েছেন।
‘ভারতীয় শুটারদের টেম্পারামেন্ট আমাদের চেয়ে অনেক ভালো। তাদের শুটিংয়ের মান ও সুযোগ-সুবিধাও আমাদের চেয়ে বেশি। এসব বিবেচনা করলে আমি তাদের বিপক্ষে ভালোই লড়াই করেছি’—বলেন আরদিনা ফেরদৌস। ২৬ বছর বয়সী এ শুটার যোগ করেন, ‘রুপা পাওয়ায় আমি খুশি। কারণ ব্যক্তিগত ইভেন্টে এটাই আমার প্রথম আন্তর্জাতিক পদক। তা রুপা না হলে স্বর্ণ হলে উচ্ছ্বাসটা ভিন্ন হতো।’ এ নিয়ে শুটিং থেকে চার রুপা পেল বাংলাদেশ। তার আগে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল, ছেলেদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশন ও মেয়েদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশন ইভেন্ট থেকে রুপা পদক পেয়েছে বাংলাদেশ।
পোখারায় ভারোত্তোলনে মেয়েদের ৭১ কেজি ওজন বিভাগে রোকেয়া সুলতানা রুপা জয়ের পথে ১৫৫ কেজি তোলেন। স্ন্যাচে ৭০ কেজি, ক্লিন এন্ড জার্ক ৮৫ কেজি তুলেছেন তিনি। এ ইভেন্টে ভারতের মানপ্রীত কাউর স্বর্ণজয় করেন। ব্রোঞ্জ পেয়েছেন স্বাগতিক নেপালের লক্ষ্মী থাপা। ছেলেদের ৮৯ কেজি ওজন বিভাগে শাখায়েত হোসেন ২৬৮ কেজি তুলে রুপা পেয়েছেন। স্ন্যাচে ১২৩ কেজি ও ক্লিন এন্ড <