কয়লাচালিত নতুন বিদ্যুৎ প্লান্টের পরিকল্পনাকারী কোম্পানিগুলোকে গত তিন বছরে ৭৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার অর্থায়ন করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। পরিবেশবাদী সংস্থাগুলোর একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খাতটিতে অর্থায়ন বন্ধের জন্য বৈশ্বিক ব্যাংকগুলোর কাছে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে সংস্থাগুলো। খবর এএফপি।
প্রতিবেদনটি এমন একটি সময় প্রকাশিত হলো, যখন স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ১২ দিনব্যাপী জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বিশ্বনেতারা। এবারের সম্মেলন থেকে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বেশকিছু বিষয় চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছেন নেতারা। এদিকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি নিয়ে গত বছর জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর জীবাশ্ম জ্বালানি কমাতে নিজেদের করা অঙ্গীকার দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি রোধ করতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি অবশ্যই ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ধরে রাখতে হবে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতিকে অবশ্যই ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ হতে হবে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার পরিবেশবাদী সংস্থাগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে এক হাজারের বেশি কয়লাচালিত নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে বা নির্মাণের পথে রয়েছে।
গ্লোবাল কোল এক্সিট লিস্টে চিহ্নিত ২৫৮টি কয়লা প্লান্ট ডেভেলপারের জানুয়ারি ২০১৭ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ঋণ ও আন্ডাররাইটিংয়ের উপাত্ত ব্যবহার করে কোম্পানিগুলোকে নতুন প্লান্টের জন্য দেয়া অর্থায়নের হিসাব করা হয়েছে। অলাভজনক পরিবেশ ও মানবাধিকার সংস্থা আর্জওয়ার্ল্ড এবং ব্যাংকট্র্যাক এ তথ্য সংকলিত করেছে।
ব্যাংকট্র্যাকের পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেগ অ্যাটকিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি স্বীকার করা সত্ত্বেও বিশ্বের সিংহভাগ শীর্ষ ব্যাংক এসব কোম্পানিকে ঋণ দিচ্ছে বা বিনিয়োগ ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এ আচরণ প্যারিস জলবায়ু চুক্তির মুখে আঘাত করার মতো বলে মনে করেন অ্যাটকিন।
কয়লা প্লান্টের পরিকল্পনাকারী কোম্পানিগুলোকে ঋণ দেয়া শীর্ষ তিন ঋণদাতার তালিকায় জাপানের ব্যাংক মিজুহো, মিত্সুবিশি ইউএফজে ফিন্যান্সিয়াল গ্রুপ ও সুমিতোমো মিত্সুই ব্যাংকিং করপোরেশনের নাম রয়েছে। এর পরই রয়েছে মার্কিন ব্যাংকিং জায়ান্ট সিটিগ্রুপ ও ফ্রান্সের অন্যতম আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিএনপি পারিবাসের নাম।
পরিবেশবাদী সংস্থা থ্রিফিফটিডটওআরজির শিন ফুরুনো বলেন, জাপানের শীর্ষ তিনটি ব্যাংক প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অমান্য করছে এবং কয়লাশক্তি বিকাশকারীদের বৃহত্তম ঋণদাতায় পরিণত হয়ে নিজেদের খ্যাতিকে কলঙ্কিত করছে। কিন্তু ব্যাংকগুলোকে নিজেদের পোর্টফোলিও অবশ্যই