বাংলাদেশ-ভারত নৌ সচিব বৈঠক

জানুয়ারিতে পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্ট চালু

প্রকাশ: ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম মোংলা বন্দর ব্যবহার চুক্তির আওতায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পরীক্ষামূলকভাবে ভারতের পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট শুরু হবে। তবে এখনো ট্রান্সশিপমেন্টের সব ফি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। এদিকে ২০১৫ সালে দুই দেশের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি সই হলেও বাংলাদেশকে সুবিধা দিতে আরো সময় নিতে চায় ভারত।

ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টসহ নৌ-পরিবহনের দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো নিয়ে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ভারতের নৌ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোপাল কৃষ্ণ।

বৈঠক সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মোংলা বন্দর ব্যবহার করে নাকুগাঁও হয়ে ভারতে পণ্য পরিবহনে একমত হয়েছে দুই দেশ। আর এজন্য আগামী বছরের জানুয়ারিতে পরীক্ষামূলকভাবে পণ্য পরিবহন শুরু করা হবে। তবে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টসংক্রান্ত মাশুলগুলো নিয়ে মতানৈক্য রয়ে গেছে। চট্টগ্রাম মোংলা বন্দরের যে নির্ধারিত মাশুলগুলো রয়েছে, তা দিতে রাজি ভারত। তবে চট্টগ্রাম মোংলা বন্দর থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য যে সড়ক ব্যবহার করা হবে, তার জন্য যে নির্ধারিত মাশুল রয়েছে, তা দিতে চাইছে না দেশটি। ফলে নিয়ে আরো পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে গতকালের বৈঠকে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, সড়কের মাশুল নির্ধারিত। ভারতের ক্ষেত্রে মাশুল নেবে নাকি নেবে না, সে বিষয়টি সড়ক কর্তৃপক্ষের ওপর ছেড়ে দেয়া হবে। এর বাইরে বন্দরের যে নির্ধারিত মাশুলগুলো রয়েছে, তা তারা পরিশোধ করবে। এক্ষেত্রে ট্রানজিট শুরু হোক, পণ্য পরিবহনে কত খরচ আসে, সেটি পরীক্ষা করে মাশুল নিয়ে আবারো আলোচনা করে ঠিক করবে দুই দেশ।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, চট্টগ্রাম মোংলা বন্দর ব্যবহারসংক্রান্ত চুক্তির () ধারায় নাকুগাঁও ডামু স্থলবন্দরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে ভারতের আসাম ভুটান থেকে রুটে পণ্য আসতে পারবে।

চট্টগ্রাম মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য আনা-নেয়ার ওপর

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫