নদীমুখে ভূমির ভাড়া ৩০০% পর্যন্ত বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর

প্রকাশ: ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯

রাশেদ এইচ চৌধুরী, চট্টগ্রাম ব্যুরো

ব্যবহারকারীদের আপত্তি

কর্ণফুলীর দুই পাশে নদীমুখে চট্টগ্রাম বন্দরের আওতাধীন জমিতে শিল্প-কারখানা বা অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ রয়েছে। তবে এজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া পরিশোধ করতে হয় ব্যবহারকারীদের। সম্প্রতি এসব জমি ব্যবহারের ভাড়া ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা। তাদের দাবি, কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ হারে ভাড়া বৃদ্ধি অযৌক্তিক।

বন্দরের এস্টেট বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নদীমুখে যেসব ব্যবহারকারী পাঁচ দৌড়ফুট (লম্বালম্বি ভূমি) পর্যন্ত দৌড়ফুটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ টাকা। আগে যেখানে প্রতি দৌড়ফুটে ব্যবহারকারীকে ভাড়া পরিশোধ করতে হতো ৩২৮ টাকা। অর্থাৎ নদীমুখে শ্রেণীর ভূমির ভাড়া বেড়েছে প্রায় ১০০ শতাংশ। প্রায় একই হারে বেড়েছে নদীমুখে ছয় থেকে ১০ দৌড়ফুট ভূমির ভাড়াও। শ্রেণীর প্রতি দৌড়ফুট ভূমির ভাড়া ৬৫৬ টাকা ২৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে হাজার ৩০০ টাকা। ১১ থেকে ২০ দৌড়ফুটের ক্ষেত্রে দৌড়ফুটপ্রতি ভাড়া আগের হাজার ৩১২ টাকা থেকে বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে হাজার ৬০০ টাকা। তবে নদীমুখে ২১ বা তদূর্ধ্ব দৌড়ফুট ভূমির ক্ষেত্রে দৌড়প্রতি ভাড়া বেড়েছে প্রায় ৩০০ শতাংশ। শ্রেণীর প্রতি দৌড়ফুট ভূমির বার্ষিক ভাড়া হাজার ৩১২ টাকা থেকে বাড়িয়ে হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া নদীমুখে স্লিপওয়ের অবকাঠামোর বার্ষিক ভাড়া প্রতিফুট প্রস্থের জন্য হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।

বর্ধিত ভাড়াসংক্রান্ত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চিঠি গত মাসের শেষের দিকে হাতে পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চিঠিতে তাদের চলতি বছরের (২০১৯ সালের) জানুয়ারি থেকে বর্ধিত হারে ভাড়া পরিশোধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ব্যবহারকারী একাধিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সুদসহ বর্ধিত ভাড়া পরিশোধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রেট্রোসপেক্টিভ ইফেক্ট দিয়ে তার সঙ্গে সুদসহ পরিশোধের যে আদেশ দেয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। এছাড়া বর্ধিত ভাড়ার ব্যাপারে আগে অবগতও করা হয়নি। তিন গুণ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করবে। বর্তমানে ব্যবসায় মন্দা ভাব বিরাজ করছে। অবস্থায় নতুন ভাড়া ব্যবসায়ীদের লোকসানের চাপ ফেলবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫