এসএ গেমসে দিপু চাকমার পর স্বর্ণের হাসি ছিল আল-আমিন, মারজান আক্তার প্রিয়া ও হুমায়রা অন্তরার মুখে। প্রথম দিনে এক স্বর্ণপদকের সঙ্গে গতকাল যোগ হলো আরো তিনটি। সবগুলো স্বর্ণপদক এসেছে কারাতে থেকে।
তায়কোয়ানদোর পর কারাতে ম্যাটের এ সাফল্যে ভাগ বসাতে পারত অ্যাথলেটিকস ও শুটিং। ট্র্যাকে দারুণ সম্ভাবনাকে স্বর্ণপদকে রূপ দিতে পারেনি তরুণ মাহফুজুর রহমান। রূপার পদকে সান্ত্বনা খুঁজতে হলো সম্প্রতি ভারতের জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণজয়ী হাই জাম্পারকে। ভারতের চেতনের সঙ্গে অবশ্য পদক ভাগ করে নিতে হয়েছে মাহফুজকে। দুজনই ২.১৬ মিটার উচ্চতা অতিক্রম করেন। নিয়মানুযায়ী দুজনকে রূপার পদক দেয়া হয়েছে, কাউকেই এ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হয়নি। রূপা অর্জনের পথে ক্যারিয়ার সেরা নৈপুণ্য দেখান নৌবাহিনীর এ জাম্পার। গত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে গড়া ২.১৫ মিটার অতিক্রম করে এদিন এক সেন্টিমিটার বেশি টপকেছেন তিনি।
শুটিং রেঞ্জে দুই ইভেন্টে সম্ভাবনা জেগেছিল। মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টের পর ছেলেদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি-পজিশনেও রূপা পেয়েছে বাংলাদেশ। এয়ার রাইফেল দলগত ইভেন্টে সৈয়দা আতকিয়া হাসান দিশা, উম্মে জাকিয়া সুলতানা টুম্পা ও শারমিন আক্তার রত্নাকে নিয়ে গড়া দল রূপা পায়। ইউসুফ আলী, আব্দুল্লাহেল বাকী ও শোভন চৌধুরীর হাত ধরে আসে শুটিংয়ের দ্বিতীয় রূপা।
সাতদাবাতো ক্রীড়া কমপ্লেক্সে কারাতের কুমি অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি ওজন বিভাগে সেমিফাইনালে নেপালের রাজিব পোদাসানিকে পাত্তাই দেননি আল-আমিন। ২৫ বছর বয়সী এ কারাতেকা ফাইনালে পাকিস্তানের জাফরকে ৭-৩ ব্যবধানে হারিয়ে কারাতে থেকে প্রথম ও গেমসে দ্বিতীয় স্বর্ণ জয় করেন।