প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে তুরস্কের অর্থনীতি

প্রকাশ: ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বছরওয়ারি শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে তুরস্ক। গত বছরের মূল্যস্ফীতির পর তিন প্রান্তিক ধরে সংকোচন শেষে ফের প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে অর্থনীতিটি। খবর রয়টার্স।

শতাংশ প্রবৃদ্ধির ট্র্যাক রেকর্ড থাকলেও গত বছর লিরার মানে ৩০ শতাংশ পতনের ফলে মূল্যস্ফীতি সুদহার বৃদ্ধি পায় এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা সংকুচিত হয়। অর্থনীতি চাঙ্গায় তখন থেকে বেশ কয়েকবার সুদের হার কমায় তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সোমবার তৃতীয় প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধির যে উপাত্ত প্রকাশিত হয়েছে, তা রয়টার্স পুলের পূর্বাভাসের প্রায় কাছাকাছি। তৃতীয় প্রান্তিকে শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল রয়টার্স। জরিপে ২০১৯ সালের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাটি।

তুরস্কের অর্থমন্ত্রী বেরাত আলবাইরাক টুইটারে লেখেন, আগামী বছরে শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশা করছে তুরস্ক। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা তুরস্কের জন্য কঠিন হবে।

র্যাবোব্যাংকের উদীয়মান বাজারের বৈদেশিক মুদ্রা কৌঁসুলি পিওটার ম্যাটিস বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো, এখনো দেশটির খানা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় আস্থা ফিরে আসেনি। বিনিয়োগকারী স্থানীয়দের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সংস্কার করা উচিত। এখন পর্যন্ত সরকার যে ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, তা বেশির ভাগই স্বল্পমেয়াদি সমাধান।

তৃতীয় প্রান্তিকে তুরস্কের প্রবৃদ্ধিতে বৃহৎ ভূমিকা রেখেছে কৃষি খাতে দশমিক ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। এছাড়া শিল্প খাতে দশমিক ৬০ শতাংশ সেবা খাতে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। নির্মাণ খাতে গত কয়েক বছর বেশ চাঙ্গা ভাব থাকলেও টার্কিশ স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের (টিইউআইকে) উপাত্তে দেখা গেছে, গত প্রান্তিকে নির্মাণ খাতে দশমিক ৮০ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।

টিইউআইকের উপাত্তে আরো দেখা গেছে, তৃতীয় প্রান্তিকে তুরস্কের রফতানি বেড়েছে দশমিক ১০ শতাংশ এবং আমদানি বেড়েছে দশমিক ৬০ শতাংশ।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫