রাবির একাদশ সমাবর্তনে...

প্রকাশ: ডিসেম্বর ০২, ২০১৯

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যত জায়গায় তাদের পদচারণা ছিল, তার কোনো স্থানই বাদ দিতে চাননি স্নাতকরা। অনেকেই আবার এক সময় হলের যে কক্ষে ছিলেন, সেখানে গিয়েও ঢুঁ মেরে এসেছেন। যেন বহু বছর পর আপন নীড়ে ফেরা

নীল আকাশে একঝাঁক কালো হ্যাট। ঠিক যেন পাখির মতো উড়ছে। আর সেই টুপি ধরতে লাফ দিচ্ছেন কেউ কেউ, অন্যরা লাফ না দিলেও হাসছেন প্রাণ খুলে। মনে হচ্ছে একটু পর পর শূন্যে ভাসছে সবাই। মতিহারের সবুজ চত্বরে এমন আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে মেতেছেন গাউন পরা স্নাতকরা। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে এমন আনন্দঘন পরিবেশে সবাই যেন ফিরে গেছেন তাদের ক্যাম্পাস জীবনে। জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করতে যেন সবাই মরিয়া।

বলছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একাদশ সমাবর্তনের কথা। গেল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। এবার রাবির সমাবর্তনে হাজার ৪৩১ জন গ্র্যাজুয়েট অংশগ্রহণ করেন। সমাবর্তনে অংশ নিতে আসা গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণায় প্রাণসঞ্চার হয়েছিল রাবি ক্যাম্পাসে। আগের দিন শুক্রবার থেকেই ক্যাম্পাসের সর্বত্র ছিল গ্র্যাজুয়েটদের ছোট ছোট দলের আনাগোনা। পুরনো বন্ধুদের পেয়ে সবাই ছিল আবেগাপ্লুত।

স্টেডিয়াম, প্যারিস রোড, শহীদ মিনার, সাবাশ বাংলাদেশ ভাস্কর্য, বিভিন্ন বিভাগ আবাসিক হলের সামনে স্নাতকরা ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। কখনো সবাই মিলে, আবার কখনো একা ছবি তুলেছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যত জায়গায় তাদের পদচারণা ছিল, তার কোনো স্থানই বাদ দিতে চাননি তারা। অনেকেই আবার এক সময় হলের যে কক্ষে ছিলেন, সেখানে গিয়েও ঢুঁ মেরে এসেছেন। যেন বহু বছর পর আপন নীড়ে ফেরা।

একাদশ সমাবর্তনে অংশ নেয়া গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী জয়শ্রী ভাদুড়ী। সমাবর্তনে অংশগ্রহণের অনুভূতি প্রসঙ্গে বলেন, অনেক দিন পর ক্যাম্পাসে এসে খুব ভালো লেগেছে। বন্ধু-বান্ধব যারা ছিল, তারা আবার ফিরে এসেছিল। সন্ধ্যা হলে পাখি যেমন নীড়ে ফিরে আসে, তেমনভাবে আবার ফিরে এসেছে সবাই। সবার সঙ্গে কুশল বিনিময়, ফটো সেশন চলছে। আমার মনে হয় প্রত্যেক বছর সমাবর্তন হওয়া উচিত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা কেবল মাত্র ১১তম সমাবর্তন চলছে। এটা যদি প্রত্যেক বছর হয়, তাহলে জুনিয়র সিনিয়রদের মধ্যে যে সখ্য, সেটা আরো শক্তিশালী হবে।

তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কেবল যারা অনার্স, বিএসসি, ইঞ্জিনিয়ারিং করে বের হয়ে গেছেন, তারা সমাবর্তনের সুযোগ পাননি। প্রশাসনের এদিকে নজর দেয়া উচিত, যাতে অনার্স পাসের পর সবাই সুযোগ পান।

সমাবর্তনে অংশ নিতে আসা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফিরোজ ইসলাম বলেন, মমতাজ উদ্দীন কলা ভবন, প্যারিস রোড, লাইব্রেরি, টুকিটাকি চত্বরসব জায়গায় আবার বন্ধুদের সঙ্গে হেঁটেছি। যেন আমি আমার ক্যাম্পাস জীবনে ফিরে গিয়েছিলাম।

এবারের সমাবর্তনে ২০১৫ ২০১৬ সালের পিএইচডি, এমফিল, স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, বিডিএস ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারী হাজার ৮১৪ জনের মধ্যে নিবন্ধন করেছেন মাত্র হাজার ৪৩১ জন স্নাতক। এর মধ্যে কলা অনুষদে হাজার ৪০২

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫