তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণমান
দীর্ঘমেয়াদে ‘এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে
‘এসটি-থ্রি’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরে কোম্পানির নিরীক্ষিত ও ৩০ সেপ্টেম্বর
পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ
প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য
শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে তসরিফা
ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে
১২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ২০ পয়সা। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট
সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৬৮ পয়সা,
আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩২ টাকা ৩ পয়সা।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায়
বারিধারা ডিওএইচএস কনভেনশন সেন্টারে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান
করা হয়েছে। ২১ নভেম্বর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম
প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭২ পয়সা, যেখানে
আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১১ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা
৯৬ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের
জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এছাড়া
২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ
পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল
তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ১৩ টাকা ৯০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ১৩
টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৮ টাকা ও
২৩ টাকা ৭০ পয়সা।
২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত
তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৬৬ কোটি ৩২
লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১০২ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার
সংখ্যা ৬ কোটি ৬৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৬। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের
কাছে ৪৯ দশমিক ৭২, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪ দশমিক ৮২ ও সাধারণ
বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ এজিএমে অনুমোদিত নিরীক্ষিত
ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ১১ দশমিক ৪২।