আমরা দেখিয়েছি,অপরাধ করে কেউ পার পাবে না: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: নভেম্বর ২৭, ২০১৯

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটলে যে দ্রুত তার বিচার করা হয়, সেটিও এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়ে গেছে। এর মাধ্যমে বিশ্বের কাছে নজির স্থাপন করলো বাংলাদেশ।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি। রায়ে আট আসামির মধ্যে সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এই রায়ের মাধ্যমে আমরা সারাবিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে পেরেছি, বাংলাদেশে এরকম হত্যাকাণ্ড ঘটলে অত্যন্ত দ্রুত তার বিচার হয়। সঠিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সঠিক বিচার করা হয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। ২০১৬ সালের ১ জুলাই যখন ওই হামলা ঘটেছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, অপরাধীদের দ্রুত বিচার করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। আজ তার সেই কথার সত্যতা মিলেছে। আমরা দেখিয়েছি, এ ধরনের অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।

তিনি বলেন, গত বছর এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। অভিযোগপত্রে মোট ২১১ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ ছিল। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় ১১৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে বিচারিক আদালত এই রায়ে উপনীত হয়েছেন। সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এই বিচারিক প্রক্রিয়া ও রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আলোচিত বিভিন্ন মামলা দ্রুত শেষ করতে পারছি, এটিও আমাদের সন্তুষ্টির একটি কারণ।

আদালতে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির মাথায় আইএসের প্রতীকসহ টুপি থাকার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এটা তো আমার জানার কথা নয়। তবে অবশ্যই বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত। এই প্রেস কনফারেন্স শেষ করেই আমি এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলব।’

হলি আর্টিজান মামলায় খালাস পাওয়া আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। কেন খালাস দেওয়া হয়েছে, আগে সেটা দেখি। তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ যা আছে, সবকিছু দেখে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫