হোলি আর্টিজান হামলা মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। রায় ঘোষণার পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা আসামিরা আইনজীবী ও গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ করে বলে— আমাদের বিজয় খুব শিগগিরই।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এ মামলার রায় পড়া শুরু হয়। রায় পড়ার সময় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন নৃশংস এ হামলা মামলার ৮ আসামি।
রায় পড়ার সময় জঙ্গিরা চুপচাপ দাঁড়িয়ে তা শুনেন। এ সময় তাদের চোখে মুখে কিছুটা ভয় বা আতঙ্ক দেখা যায়। কিন্তু রায় ঘোষণার পর আসামিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা নির্দোষ বলে বার বার চিৎকার করতে থাকেন।
হাদিসুর রহমান বলেন , আমি তো ছিলামই না। কোন কিছুই জানি না। রিগান নামে এক জঙ্গি বলেন, আমি নাকি আইএসের সদস্য। শুনে হাসি পায়। রায় শেষে এজলাস থেকে বের করে আসামিদের প্রিজন ভ্যানে করে আবার কারাগারে নেওয়া হয়।
খালাসপ্রাপ্ত আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান সাংবাদিকদের বলে, ‘আল্লাহ আমাকে খালাস করেছেন। আমি অনেক বার বিচারককে বলেছি— আমি সেই মিজান না। আমাকে বিনা দোষে এত দিন জেলে রাখছে। রায় ঘোষণা শেষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আসামিদের আবারও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।