মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ইংল্যান্ডকে ইনিংস ব্যবধানে হারায় নিউজিল্যান্ড। কিউইদের এ জয়ের অন্যতম রূপকার ফাস্ট বোলার নেইল ওয়াগনার। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটসহ ম্যাচে ৮ উইকেট তুলে নেন তিনি। দুরন্ত এ পারফরম্যান্সের পুরস্কারও পেলেন। আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ে বোলারদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স, দুইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা।
এছাড়া প্রথম নিউজিল্যান্ড উইকেটকিপার হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা বিজে ওয়াটলিং ১২ ধাপ উন্নতি করে ১২ নম্বরে উঠে এসেছেন। বে ওভালে ৪৭৩ বল খেলেন ওয়াটলিং। টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে তার চেয়ে বেশি বল খেলা একমাত্র উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হলেন শ্রীলংকার ব্রেন্ডন কুরুপ্পু। দুরন্ত এ ইনিংসই তাকে ক্যারিয়ারসেরা ৬৯৩ রেটিং পয়েন্ট এনে দিয়েছে।
ব্রিসবেনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮৫ রানের রাজসিক ইনিংস খেলা অস্ট্রেলিয়ার মার্নুস লাবুশেন ৬৮৪ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছেন ১৪ নম্বরে। তিনি ২১ ধাপ উন্নতি করেছেন। অথচ গত অ্যাশেজ সিরিজে স্টিভ স্মিথের ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে নামার সময় তিনি ছিলেন ৯৫তম স্থানে। সেখান থেকে দ্রুত উন্নতি করেছেন এ খেলোয়াড়টি।
ব্রিসবেনে ১৫৪ রানের ইনিংস খেলা ডেভিড ওয়ার্নার ছয় ধাপ উন্নতি করে উঠে এসেছেন ১৭ নম্বরে। ৯৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ। আর ৯২৮ পয়েন্ট নিয়ে তার পরেই বিরাট কোহলি, যিনি ইডেনে সদ্যসমাপ্ত গোলাপি বলের টেস্টে ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি তুলে নেন।
ইডেনে ৯ উইকেট শিকার করা ইশান্ত শর্মা ২০ থেকে ১৭ নম্বরে উঠেছেন। বোলারদের তালিকায় বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৬তম স্থানে রয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম, তার পরেই মেহেদী হাসান মিরাজ। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম চার ধাপ উন্নতি করে ২৬ নম্বরে উঠেছেন। ইডেন টেস্টে তিনি করেন ৭৪ রান। মুশফিকের পরেই রয়েছেন বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল, যিনি ভারত সফরে দলে ছিলেন না। ক্রিকইনফো