অধিকতর সুরক্ষা নিশ্চিত করে সৌদি আরবসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে নারী শ্রমিক পাঠানো অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। গতকাল সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়া বৈঠকে বিদেশ ফেরত কর্মীদের বিমানবন্দরে হয়রানি দূর করার বিষয়ে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদারসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, মৃণাল কান্তি দাস, আয়েশা ফেরদাউস, পংকজ নাথ ও মো. ইকবাল হোসেন অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধের পক্ষে আমরা নই। আমরা মনে করি তাদের পাঠানো অব্যাহত রাখতে হবে। তবে যেসব অভিযোগ আছে সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তার ওপর জোর দিতে হবে। দরকার হলে সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিদেশে নারী শ্রমিকদের
হয়রানি-নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় চিন্তিত। তবে বিষয়টি এই পর্যায়ে নয় যে পাঠানো বন্ধ করে দিতে হবে। বিদেশে নারী শ্রমিকরা যাতে নিরাপদে কাজ করতে পারেন, তার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যত ধরনের সম্ভব সুরক্ষা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করা না করার বিষয়ে দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষ বন্ধ করার পক্ষে, আবার অনেকে এটা চালু রাখতে বলছেন। কিন্তু এত আলোচনার মধ্যেও অনেক নারী শ্রমিক নিজেরাই বিদেশে যাওয়ার আগ্রহের কথা জানাচ্ছেন। যারা নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে চাচ্ছেন তাদের একটি অংশের অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেও কমিটির বৈঠকে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়, সৌদি আরবে কর্মরত গৃহকর্মীদের অভিযোগ শুনতে অনলাইন ব্যবস্থা ‘মুসানেদ’ (সহায়তা) ২০১৫ সাল থেকেই কার্যকর রয়েছে। এ ব্যবস্থায় নির্যাতিত গৃহকর্মীরা