সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ২৮৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক ও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ প্রক্রিয়া। প্রথম পর্যায়ে উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়ার বড় দুটি ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
গতকাল দুপুরে কক্সবাজারের রামু
সেনানিবাসের অধীন ৬, ৯ ও ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৬ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ১৩ ও ১৪
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন
থেকেই প্রশংসনীয় কার্যক্রম প্রদর্শনের মাধ্যমে ৬, ৯ ও ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৬
ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ১৩ ও ১৪ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট রেজিমেন্টাল
কালার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্তি যেকোনো ইউনিটের জন্য
একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। সেনাপ্রধান আশা প্রকাশ করেন যে কর্মদক্ষতা, কঠোর
পরিশ্রম এবং কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বর্থপ প্রাপ্ত রেজিমেন্ট কালারের মর্যাদা ও
সেনাবাহিনীর প্রতি জাতির আস্থা অটুট রাখার জন্য যেকোন ত্যাগস্বীকারে ইউনিটগুলো
সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
উপস্থিত সবাই উদ্দেশে সেনাবাহিনী
প্রধান বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট
দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান
রেখে চলেছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা ও জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে
সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগস্বীকারের জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হবে এবং সবাইকে
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসতে হবে। পরিশেষে সেনাপ্রধান রেজিমেন্টাল কালার প্রদান
উপলক্ষে একটি সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শনসহ অনুষ্ঠানটি আয়োজনের সঙ্গে
সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং উপস্থিত অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এ সময় রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি
মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী,
তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির
সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক,
সংসদ সদস্য জাফর আলম, এয়ার
কমোডর মুহাম্মদ শাফকাত আলী,
ডিজিএফআই কক্সবাজার অধিনায়ক কর্নেল আবুজার আল
জাহিদ, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব
আলম তালুকদার, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.
কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ
ইউএনএইচসিআর, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের ব্যক্তিসহ সেনা,
নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।