চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ২০১৯-২০ কফি বর্ষ। এ বর্ষে পানীয় পণ্যটির উৎপাদন ও সমাপনী মজুদ উভয়েই মন্দা ভাব বজায় থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। তবে এবার কৃষিপণ্যটির ব্যবহার বেড়ে এ-যাবত্কালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশনের (আইসিও) তথ্য অনুযায়ী, এবার বিশ্বজুড়ে মোট ১৬ কোটি ৭৪ লাখ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) কফি উৎপাদিত হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৯ শতাংশ কম। এর মধ্যে অ্যারাবিকা কফির উৎপাদন ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ব্যাগে নামতে পারে। তবে একই সময়ে রোবাস্তার উৎপাদন দেড় শতাংশ বেড়ে ৭ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ব্যাগে উন্নীত হতে পারে।
এদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) তথ্য অনুযায়ী, চলতি উৎপাদন বর্ষে পানীয় পণ্যটির ব্যবহার রেকর্ড বাড়বে। এ সময়ে বিশ্বজুড়ে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ ব্যাগ কফি ব্যবহারের পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি, যা এ-যাবত্কালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
উৎপাদন হ্রাসের বিপরীতে পণ্যটির ব্যবহার বাড়ায় প্রভাব পড়বে মজুদে। এবার কফির বৈশ্বিক মজুদ কমে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টনে ঠেকতে পারে।
এদিকে চাহিদায় প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে পণ্যটির লেনদেন কমে আসতে পারে। শীর্ষ রফতানিকারক দেশ ব্রাজিলসহ ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে রফতানি হ্রাসের জেরে এবার কফির বৈশ্বিক রফতানি আগের বছরের তুলনায় আট লাখ ব্যাগ কমে ১১ কোটি ৬৮ লাখ ব্যাগে নামতে পারে।
মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে কফির অব্যাহত দরপতনে কৃষকরা পণ্যটির আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এছাড়া শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিলের বাগানগুলোয় ফলন কমে আসাতে পারে। একই সঙ্গে দেশটির গাছগুলোর পরিপক্বতায় পার্থক্য থাকায় উৎপাদিত কফি নিম্নমানের হতে পারে। সূত্র: ইউএসডিএ ও আইসিও।