কয়েক দিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রে কলকাতার ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেনস। বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট ঘিরেই মূলত সব আলোচনা। প্রতিবেশী দুই দেশের এ টেস্ট ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিই নেয়া হয়েছে। আয়োজন বলছে এরই মধ্যে ‘অমরত্বের’ খাতায় নাম লিখিয়েছে এই দ্বৈরথ। মাঠের ভেতর ও বাইরে দুই জায়গাতেই আছে চমক ও রোমাঞ্চ। এ ম্যাচটিই যে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট। যেখানে অপেক্ষার প্রহর শেষ করে গোলাপি বলকে নিয়ন্ত্রণে আনার লড়াইয়ে নামবে এ দুই দল। যেসব আয়োজনে স্মরণীয় হতে যাচ্ছে ইডেন টেস্ট, তুলে ধরা হলো তার চুম্বকাংশ।
ঘণ্টা বাজিয়ে উদ্বোধন: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পরপরই মূলত কলকাতা টেস্ট নিয়ে আয়োজন শুরু করেন সৌরভ গাঙ্গুলী। যেখানে তিনি এ টেস্ট উদ্বোধন করতে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর ঠিক হয় ঘণ্টা বাজিয়ে ইডেন টেস্টের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শাল ও টেস্টের জন্য তৈরি করা বিশেষ সোনার মুদ্রাও উপহার দেয়া হবে।
খ্যাতিমানদের উপস্থিতি: ইডেন টেস্টকে উপলক্ষ করে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গণ্যমান্য অনেক ব্যক্তিকে। ক্রিকেটের বাইরের অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তির উপস্থিতি জমিয়ে তুলতে পারে গোলাপি বলের এ লড়াইকে। ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা, বক্সিং কিংবদন্তি ম্যারি কম ও শুটিং তারকা অভিনব বিন্দ্রাকে দেখা যেতে পারে ইডেনের করিডোরে। এছাড়া ভারতের সাবেক অধিনায়কদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এ ম্যাচে।
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট তারকাদের উপস্থিতি: ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রা করেছিল বাংলাদেশ। ভারতের সে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী। ইডেন টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে এ ম্যাচে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ২০০০ সালের সেই ম্যাচটিতে বাংলাদেশ স্কোয়াডে থাকা সদস্যদের। বেশির ভাগ সদস্যই সৌরভের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে উপস্থিত থাকবেন ইডেনে।
গোলাপি আভায় মাস্কট পিঙ্কু-টিঙ্কু: পিঙ্কু-টিঙ্কু এ টেস্টের মাস্কটের নাম। তাদের শরীর ভারতের জার্সিতে জড়ানো থাকলেও মাথা রাঙানো হয়েছে গোলাপি রঙে। এ মাস্কটের উপস্থিতি ইডেন টেস্টের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ।
গোলাপি শহর কলকাতা: ইডেন টেস্ট এখন কেবল মাঠেই সীমাবদ্ধ নয়। গোটা কলকাতা এখন সেজেছে গোলাপি রঙে। যতভাবে সম্ভব গোলাপি রঙকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে গোটা শহরজুড়ে। বড় বড় অট্টালিকা, দেয়াল, বিলবোর্ড সবকিছু দখল করে আছে গোলাপি আভা। এমনকি কলকাতা থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোও গোলাপি রঙে রাঙানো হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আকাশপথে