সুয়েজ খাল

চার হাজার বছরের গল্প

প্রকাশ: নভেম্বর ২২, ২০১৯

এস এম রশিদ

আমার চেয়ে বেশি খালের ভক্ত আর কেউ নেই, কিন্তু আমি চাই খালটি মিসরের অধিকারে থাকুক, মিসর যেন খালের অধিকারে চলে না যায়। ইসমাঈল পাশা (১৮৩০-১৮৯৫)

 

আধুনিক সুয়েজ খাল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছিল ১৮৬৯ সালের ১৭ নভেম্বর। সে হিসেবে মাত্র কয়েকদিন আগে সুয়েজ খাল তার সার্ধশত জীবত্কাল পার করল। কিন্তু আধুনিক সুয়েজ খাল প্রকৃতপক্ষে চার হাজার বছরের এক মহাকাব্যের ধারাবাহিকতা। দি ইস্থমাস অব সুয়েজ মিসরের বুকে ৭৫ মাইল চওড়া একচিলতে ভূমি। জমি চিরে মানুষের তৈরি ১০০ মাইলের বেশি দীর্ঘ এক খাল যুক্ত করেছে ভূমধ্যসাগর লোহিত সাগরকে। একই সঙ্গে খাল যুক্ত করেছে দুটো মহাদেশকে, বিশ্ব অর্থনীতিতে যারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাল ব্যবহার করে নৌযান এশিয়া আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে সেতু হয়ে ওঠে। সুয়েজ খালের কারণে নৌযানগুলো ইউরোপ থেকে প্রাচ্যে চলে আসতে পারে আফ্রিকা মহাদেশকে প্রদক্ষিণ না করেই। এতে বেঁচে যায় হাজার মাইল পথের যাত্রা কয়েক সপ্তাহ সময়। খালটি তাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ এবং দুনিয়ার বড় দেশের সবাই এর ওপর নজর রাখে।

এমন একটি জলপথের প্রয়োজনীয়তা আধুনিককালের মানুষ প্রথম অনুভব করেছিল এমন নয় মোটেও। প্রয়োজন মানুষ অনুভব করেছিল অন্তত চার হাজার বছর আগে। মরুভূমির মধ্য দিয়ে কীভাবে জাহাজ চালানো যায়, সেটা নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষ ইতিহাসের শুরু থেকেই পরিকল্পনা করছিল। ভূমধ্যসাগর লোহিত সাগরকে যুক্ত করে নৌপথে পণ্য পরিবহনের জন্য প্রথম খালটি খনন করা হয়েছিল মিসরের দ্বাদশ বংশীয় শাসনামলে, সেটা খ্রিস্টপূর্ব উনিশ শতকে। খ্রিস্টপূর্ব উনিশ শতকে মিসরের ফ্যারো তৃতীয় সেনাসরেটের প্রভাব বিবলোস থেকে নুবিয়ার দক্ষিণাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। বিভিন্ন অঞ্চলের বণিক পণ্যের সমাহার দেখা যেত অঞ্চলে। এরা মধ্যপ্রাচ্য আফ্রিকার মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তুলেছিল। সে সময় ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে লোহিত সাগরকে যুক্ত করে প্রথমবারের মতো খাল খনন করা হয়েছিল। না, সে খাল সরাসরি দুই সাগরকে যুক্ত করেনি। কিছুটা ছিল নীল

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫