খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। অযৌক্তিকভাবে চালের দাম বাড়ানো হলে তা সহ্য করা হবে না। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গতকাল চালকল মালিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে চালের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২ কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৭১০ টন। বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৩ কোটি ৪৪ লাখ টন। এ মুহূর্তে সরকারের বিভিন্ন গুদামে খাদ্য মজুদ রয়েছে প্রায় ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৭০৭ টন। এর মধ্যে চাল আছে ১১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ টন।
তিনি বলেন, ধানের দাম বাড়েনি। তাই চালের দাম বৃদ্ধি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যাবে না। ধানের দাম বাড়লে কৃষক কিছুটা লাভবান হতো, কিন্তু তা হয়নি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক লাভ পাবে না, কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীরা সব লাভ নিয়ে যাবে, সেটা চলতে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিভিন্ন টিম মাঠ পর্যায়ে চালের বাজার মনিটরিং করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, দেশের প্রতিটি বাজারে যে পরিমাণ চাল মজুদ আছে, তাতে পরিবহন ধর্মঘট চললেও চালের দামের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না, যদি কেউ কারসাজি না করে।
তিনি আরো জানান, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে এরই মধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার। প্রয়োজন হলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ওমর ফারুক, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ, বাংলাদেশ অটো রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খোরশেদ আলমসহ স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, চালকল মালিক সমিতির নেতা এবং খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।