কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, গতানুগতিক কাজ বাদ দিয়ে ইনোভেটিভ হতে হবে। ইউনিয়নভিত্তিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জানাতে হবে। একই ফসল নিয়ে কয়েকজন কাজ করেন। তবে সবাইকে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে। ফসলের ক্ষেতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে যেসব এলাকায় খাল খনন করা হয়েছে, সেসব এলাকায় উৎপাদন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুফল বের করতে হবে। মন্ত্রী গতকাল কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাসিক এডিপি সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এসব নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সঞ্চালনা করেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ডাল ও তেলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে যারা কাজ করছেন, তাদের আগে থেকেই কী পরিমাণ বীজ উৎপাদন করা হবে এবং তা থেকে কী পরিমাণে তেল ও ডাল পাওয়া যাবে, তা নির্ধারণ করতে হবে। কতজন কৃষককে কী পরিমাণ বীজ দেয়া হবে সেটাও জানাতে হবে।
এ সময় বারি ও বিনার উদ্দেশে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী। একই সঙ্গে পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে চিভ চাষ বাড়ানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। সভায় প্রতিটি ইউনিয়নে ধান ও চালের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র সরবরাহ করা হবে বলে জানান কৃষি সচিব।