ব্যক্তিগত বাড়ি নির্মাণের জন্য এতদিন সর্বোচ্চ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ পাওয়া যেত। এ ঋণসীমা ৮০ লাখ টাকা বাড়িয়ে ২ কোটি টাকা করা হয়েছে। গতকাল এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি গৃহঋণ সীমা বাড়ানোসহ প্রায় এক ডজন দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে গৃহঋণ সীমা বাড়ানোর বিষয়ে এমডিদের দাবির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক একাত্মতা প্রকাশ করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল গৃহঋণ সীমা ২ কোটি টাকা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গৃহনির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি, দেশে উচ্চতর মধ্যবিত্ত গোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং আবাসনের বর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ঋণ ও মূলধনের অনুপাত আগের মতোই ৭০: ৩০ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ১ কোটি টাকার ফ্ল্যাট বা বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যাংক ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থায়ন করতে পারবে। বাকি ৩০ লাখ টাকা গ্রাহককে দিতে হবে।