মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ও ব্যবসা সম্প্রসারণে ৫০০ কোটি টাকার বেমেয়াদি বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। টিয়ার ওয়ান মূলধন বাড়াতে ও ব্যাসেল থ্রি কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনে ব্যাংকটি নতুন করে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির ৫০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টিবল সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক তাদের টিয়ার-টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১ কোটি টাকা। এর ম্যান্ডেটেড জয়েন্ট অ্যারেঞ্জার হিসেবে রয়েছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড ও এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০১৯ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৩৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪ টাকা ৩০ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৭ টাকা ১ পয়সা। ২০১৭ হিসাব বছরেও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা।
২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে আসা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯৫৮ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫২৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।