দারিদ্র্য হ্রাসে নতুন কৌশল ও আচরণগত অর্থনীতি

প্রকাশ: নভেম্বর ২০, ২০১৯

মোস্তফা মোরশেদ

অন্যান্য নোবেল পুরস্কারের মতো অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার নিয়েও আগ্রহের অন্ত নেই। যদিও নোবেল পুরস্কার দেয়ার কোনো সংক্ষিপ্ত তালিকা নেই, তবু আপনি যদি একজন সাদা চামড়ার মার্কিন অর্থনীতিবিদ হন, আর বয়স যদি ৫৫ বছর বা তার বেশি হয়, তাহলে নোবেল পুরস্কারের দাবিদার হতেই পারেন। দৈনিক বণিক বার্তার যারা নিয়মিত পাঠক, তারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন ১২ অক্টোবর প্রকাশিত আমার এক লেখায় বছর সম্ভাব্য যে কয়েকজন প্রার্থী ছিলেন, তাদের মধ্য থেকে দুজন পুরস্কার পেয়েছেন। বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার নিয়ে তিনটি ভিন্ন আলোচনা করা যেতে পারে। প্রথমত, ২০১৭ সালের (রিচার্ড থ্যালার ভোক্তার মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে নোবেল পেয়েছিলেন) মতো অর্থনীতির উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় আচরণগত বিষয়টি কীভাবে ভূমিকা রাখছে। দ্বিতীয়ত, দারিদ্র্য দূরীকরণের বিষয়টি কেন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হয়েছে। তৃতীয়ত, র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়ালের (আরসিটি) ব্যবহার কীভাবে উন্নয়ন অর্থনীতির বিভিন্ন চলকের পরিমাণ ব্যাখ্যায় ব্যবহার হয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত গাণিতিক তত্ত্বনির্ভর আলোচনায় যেখানে অর্থনীতির মূল উপজীব্যমানুষহারিয়ে যেতে বসেছে, সেখানে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে নোবেল কমিটি কর্তৃক মানুষের আচরণগত বিষয় কীভাবে উৎপাদন ব্যবস্থাকে প্রভাবান্বিত করে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। ২০১৯-এর নোবেলজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিজিৎ ব্যানার্জি তার স্ত্রী ফরাসি বংশোদ্ভূত এস্তার দুফলো এবং মার্কিন অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমার মূলত দারিদ্র্য বিমোচনে মানুষের আচরণগত বিষয়টি নতুনভাবে তুলে এনেছেন। নিও ক্ল্যাসিক্যাল অর্থনৈতিক দর্শনের ওপর প্রতিষ্ঠিত প্রবৃদ্ধির মডেল দ্বারা পরিচালিত আর্থসামাজিক উন্নয়নের গতি অনেক দেশেই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ২৫-৩০ বছর আগে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন, কাঠামোগত অর্থনৈতিক পরিবর্তন কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের যে ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছে, তা থেকে দূরে সরে গিয়ে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর খোঁজার মাধ্যমে কীভাবে ব্যক্তিজীবনের সঠিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে এবং সে অনুযায়ী কৌশল নীতি প্রণয়ন করা যাবে সে বিষয়ে তারা আলোকপাত করেছেন। নোবেল কমিটি ত্রয়ীর অবদানকেলার্নিং ক্রাইসিসহিসেবে উল্লেখ করে আগামীতে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মত দিয়েছে।

দ্বিতীয় যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো, দারিদ্র্য হ্রাস করা (খুব সচেতনভাবে বললে, দারিদ্র্য দূরীকরণ নয়, যদিও নোবেল কমিটি তাই বলেছে) ১৯৪০-এর দশক থেকে শুরু হওয়া উন্নয়ন

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫