দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) উদ্যোগ কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে। দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি উন্নয়নে পিপিপি অপরিহার্য। এটি ছাড়া এসডিজির সব অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব। তবে পিপিপি বাস্তবায়নে এখনো আস্থাহীনতা রয়েছে। সেগুলোকে দ্রুত নিরসন করতে হবে। অন্য যেসব বাধা আছে, তা দূর করার উদ্যোগ নীতিনির্ধারণী মহল থেকে নিতে হবে।
গতকাল ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস (ডিএসসিই) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ফল এন্ট্রাপ্রেনিউরিয়াল ভেঞ্চার: পারস্পেকটিভ অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে ঢাকা স্কুলের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, উদ্যোক্তা অর্থনীতি কোর্সের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী, সহকারী অধ্যাপক রেহানা পারভীন, সারাহ তাসনীম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শবনম জাহান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পিপিপি অথরিটির প্রধান নির্বাহী ও সচিব মুহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, সুষম উন্নয়নের জন্য পিপিপি ভালো টেকসই উদ্যোগ। এর জন্য বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। পিপিপিতে সফল হতে হলে ব্যবসার সহজ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করতে হবে। ঢাকা স্কুলে উদ্যোক্তা উন্নয়নে পিপিপির আওতায় ‘ইকোনমিক ইনকিউবিটর’ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সম্প্রতি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। এটি সরকারের দায়িত্ব। যারা দ্রব্যমূল্য অস্থিতিশীল করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে পিপিপি স্বার্থক মডেল হতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ১৯৯০ সালে পিপিপির আওতায় সফলভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশের সুযোগ রয়েছে।