গত মাসে ইংল্যান্ডের এসেক্স কাউন্টিতে একটি রেফ্রিজারেটেড লরিতে পাওয়া ৩৯ ভিয়েতনামির মরদেহ ফিরিয়ে নিতে আর্থিক জটিলতার মুখে পড়তে হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে। খবর গার্ডিয়ান।
ভিয়েতনামের হা তিনহ প্রদেশের কান লক জেলার পিপলস কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান বুই হুয়ে কুয়ং বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তারা পরিবারগুলো পরিদর্শনের সময় মরদেহের পরিবর্তে নিহতদের ভস্ম গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করে গেছেন। কিন্তু অনলাইনে কিছু অনানুষ্ঠানিক ও ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে। যেখানে ভিয়েতনামে তাদের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকার সব ব্যয় বহন করবে বলে জানানো হয়েছে। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, নিহতদের মধ্যে ১০ জনের বাড়ি কান লক জেলায়।
কুয়ং জানান, প্রাথমিকভাবে সাতটি পরিবার মরদেহের বদলে ভস্ম গ্রহণের সম্মতি দিয়ে একটি ফর্মে স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু পরে তারা ওই সম্মতি প্রত্যাহার করে নেয়। ব্রিটিশ বা ভিয়েতনাম সরকার মরদেহগুলো দেশে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে কিনা, এ মুহূর্তে আমরা তা নিশ্চিত নই। তবে ব্রিটিশ ও ভিয়েতনাম সরকার কী পরিমাণ অর্থ দেবে এবং পরিবারগুলোকে কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে, শিগগিরই এ সম্পর্কিত বিভ্রান্তি কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত মাসের শেষ দিকে এসেক্সে একটি কনটেইনার লরি থেকে ৩৯টি মরদেহ উদ্ধার করে ব্রিটিশ পুলিশ। প্রাথমিকভাবে নিহতরা চীনা নাগরিক বলে মনে করা হলেও পরে ৩৯ জনই ভিয়েতনামের নাগরিক বলে জানা যায়। এ ঘটনায় লরি চালককে আটক করা হয়। নিহতরা অবৈধ পথে ইউরোপে পাড়ি দেয়ার সময় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।