সম্ভাবনা জাগিয়েও হার। এমন যন্ত্রণার সঙ্গে বেশ পরিচিত বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থকরা। ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচেও পুনরাবৃত্তি হলো সেই একই গল্পের। পিছিয়ে পড়া ম্যাচে মোহাম্মদ নাঈম শেখের হাত ধরে একপর্যায়ে ফিরে এসেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু নাঈমকে ন্যূনতম সঙ্গ দিতে পারেননি বাকি ব্যাটসম্যানরা, যা বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দিয়েছে সেই পুরনো আক্ষেপ—একটুর জন্য হলো না। কিন্তু এই না হওয়ায় প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজেদের দায়ই ছিল বেশি। ম্যাচের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও স্বীকার করে নিয়েছেন নিজেদের ভুল। অথচ এ ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। অবশ্য এমন আক্ষেপের মাঝে বাংলাদেশকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাটিং। তার অনবদ্য ব্যাটিংয়েই ভারতের সঙ্গে লড়াই জমিয়ে তুলেছিল বাংলাদেশ।
নাগপুরে রোববার টস ভাগ্যটা হেসেছিল বাংলাদেশের পক্ষেই। আগে বল করার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে সময় নেননি পেসাররাও। দ্বিতীয় ওভারেই ভয়ংকর রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন শফিউল। প্রথম তিন ওভারে ভারতের রান মাত্র ১০। ষষ্ঠ ওভারে শফিউলের দ্বিতীয় শিকার শিখর ধাওয়ান। একই ওভারে ফিরতে পারতেন শ্রেয়াস আইয়ার। কিন্তু পয়েন্টে শ্রেয়াসের ক্যাচ ফেললেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। আগের দুই ম্যাচে দারুণ বল করা বিপ্লবের জন্য দিনটিই ছিল বাজে। ক্যাচ ছাড়ার পাশাপাশি বল হাতেও ছিলেন খরুচে। তিন ওভার বল করে রান দিয়েছেন ২৯। কোনো উইকেটও পাননি। আরেক তরুণ আফিফও পারেননি সুবিধা করতে। প্রথম ওভারে ২০ রান দিয়ে আর সুযোগই পাননি বল হাতে নেয়ার। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনিও। চার ওভারে কোনো উইকেট ছাড়া দিয়েছেন ৪২ রান। সব মিলিয়ে ভারত পায় ১৭৪ রানের বড় সংগ্রহ। জীবন পাওয়া শ্রেয়াস করেন ৩৩ বলে ৬২ রান।