সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই

ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপী সনাক্তে পদ্ধতি প্রণয়নের দাবি

প্রকাশ: নভেম্বর ১০, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

খেলাপী ঋণ অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগে একটি পদ্ধতি হাতে নেয়া যেতে পারে যার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপী এবং অনিচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপী সনাক্ত করা যেতে পারে। এতে করে খেলাপী ঋণ কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সুবিধা হবে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি মত ব্যক্ত করেছেন। 

এছাড়া দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ সুদ হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা প্রয়োজন। সুদহার বাস্তবায়নে সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি বলে জানিয়েছে ডিসিসিআই। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন। গতকাল শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা ভবিষ্যৎ চিত্র শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি ওসামা তাসীর।

রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠানে সংগঠনের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরীর সহসভাপতি ইমরান আহমেদসহ সংগঠনের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই করতে বেসরকারি খাতের প্রতিবন্ধকতা কমাতে বেশ কিছু নীতি সুপারিশ উপস্থাপন করেন।

ওসামা তাসীর বলেন, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে খেলাপি ঋণ কমানো বড় চ্যালেঞ্জ। এই চলমান সংকট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে রফতানিও কমেছে। উৎপাদনশীল খাতের উদ্যোক্তারা নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। থেকে উত্তরণে ঋণের সুদ হার কমানো দরকার। এখনও বেশিরভাগ ব্যাংক ১১ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। যা ব্যবসার ব্যয় বাড়াচ্ছে। জন্য সরকার এক অঙ্কের সুদহারে ঋণ দিতে উদ্যোগ নিয়েছে। তবে, এক অঙ্কের সুদহার বাস্তবায়নে মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদহার হ্রাস এবং সুশাসন জরুরি। জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি এবং অনিচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি চিহ্নিত করতে পারে। কারণ, সব ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কে জানে। এর মাধ্যমে খেলাপী ঋণ কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে।

ওসামা তাসীর আরও বলেন, খেলাপী ঋণ বৃদ্ধি ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীরা সঞ্চয়পত্রের দিকে ধাবিত হওয়ায় বেসরকারীখাতে ঋণ কমেছে। ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে করের আওতা বাড়াতে হবে। যাতে সরকারের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়া কমে। যা বেসরকারী খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়াতে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান মুল্যস্ফীতি দশমিক ৫৪ শতাংশ। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার পর্যবেক্ষণ বাড়ানোর পাশাপাশি পণ্যের পর্যন্ত যোগান নিশ্চিত করা আবশ্যক বলে মনে ডিসিসিআই মনে করে এবং একই সঙ্গে সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় জ্বালানির যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা জরুরি। রফতানি বাড়াতে পণ্য বহুমুখী করা প্রয়োজন। নতুন নতুন রফতানি বাজার সম্প্রসারণে বিস্তৃত কৌশল নিতে হবে।

দেশে উচ্চশিক্ষিত ২৬ শতাংশের বেশি বেকারের সংখ্যা উদ্বেগের বিষয় এমন মন্তব্য করে ওসামা তাসির বলেন, পেশাগত দক্ষতার অভাবে তুলনামহূলক বিচারে আমাদের প্রবাসী শ্রমিকরা ভারতের প্রবাসী শ্রমিকদের তুলনায় কম বেতন পাচ্ছে। ক্ষেত্রে শিক্ষা কার্যক্রমের সব স্তরে সিলেবাসের মান উন্নয়ন যুগোপযোগীকরণ, কারিগরি শিক্ষার উপর আরো বেশি গরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে উদ্যোক্তা তৈরিতে আরো বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। 

ওসামা তাসীর বলেন, কৃষি খাতে পণ্য সংরক্ষণ সরবরাহ ব্যবস্থার অভাবে উৎপাদিত পণ্যের বড়

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫