প্রতিষ্ঠার ১৩ বছর পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ২৭ জানুয়ারি। তবে এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক নির্মাণের দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, ক্যাম্পাসের সামনে ফটক নির্মাণের জন্য তারা বেশ কয়েকবার আন্দোলন করেছেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরের ফটকটিও প্রশাসনের অবহেলায় এখন অরক্ষিত পড়ে আছে।
শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোনো ফটক না থাকায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও পর্যটকদের কাছে তাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসেও বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজতে থাকেন। এদিকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বেলতলীর ফটকটির দেখভাল করছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফটকটি বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলকের কয়েকটি বর্ণ উঠে গেলেও সেদিকে প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান ও ওবায়দুল্লাহ অনিক বলেন, আমরা চাই প্রথম সমাবর্তনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক নির্মাণ করা হোক। একই সঙ্গে সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হোক বেলতলীর ফটকটিরও।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার সহকারী রেজস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান বলেন, বেলতলীর ফটকটির নামফলকের যে অক্ষরগুলো নেই, সেগুলো নতুন করে লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিগগিরই নতুন নামফলক স্থাপন করা হবে। তবে ফটকটি ক্যাম্পাস থেকে দূরে হওয়ায় সবসময় রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় না। তবে আমরা কয়েক দিন পরপর ফটকটিতে সাঁটানো পোস্টার সরিয়ে ফেলি।
প্রধান ফটক নির্মাণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক ছানোয়ার আলী বলেন, ফটক নির্মাণের জন্য নকশার কাজ চলছে। নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর বাজেট করে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। এজন্য সব মিলিয়ে আট মাস থেকে এক বছরের মতো সময় লাগবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ক্যাম্পাসের সামনে মূল ফটক নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর সমাবর্তনে সাজসজ্জার জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হবে। সেই প্রতিষ্ঠানই সমাবর্তনের জন্য দৃষ্টিনন্দন ফটক নির্মাণ করবে।