থাইল্যান্ডের চিনি উৎপাদন কমতে পারে

প্রকাশ: নভেম্বর ১০, ২০১৯

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি মৌসুমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে চিনি উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাওয়ার পূর্বাভাস মিলেছে। মৌসুমে দেশটিতে চিনির অন্যতম কাঁচামাল আখ উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর সেটি হলে ২০১৯-২০ মৌসুমে দেশটির চিনি উৎপাদন কোটি ২০ লাখ টনের নিচে নেমে আসতে পারে। থাই সুগার মিলারস করপোরেশনের (টিএসএমসি) মহাপরিচালক রাংসিত হিয়াংগ্রাত সম্প্রতি এমন তথ্য জানিয়েছেন। খবর কোজেন্সি ডটকম।

চিনি উৎপাদন রফতানিকারক শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম থাইল্যান্ড। ২০১৮-১৯ মৌসুমে দেশটি থেকে কোটি ৪৫ লাখ টন চিনি রফতানি হয়েছিল। কিন্তু চলতি মৌসুমে আখ উৎপাদন কমে দাঁড়াতে পারে ১১ কোটি টনে। যেখানে ২০১৮-১৯ মৌসুমে উৎপাদন ছিল ১৩ কোটি টনের মতো। আর আখ উৎপাদন কমে যাওয়ায় মৌসুমে চিনি উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাবে।

সম্প্রতি দিল্লির গুরুগ্রামে অনুষ্ঠিত এশিয়ার চিনি ইথানল উৎপাদক দেশগুলোর দশম বার্ষিক সম্মেলনে এসে এসব তথ্য জানান রাংসিত হিয়াংগ্রাত। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী, আবহাওয়াগত কারণে এবার থাইল্যান্ডে আখ উৎপাদন কম হবে। বিশেষ করে দেশটির প্রধান প্রধান আখ উৎপাদন অঞ্চলে খরা মোকাবেলা করতে হচ্ছে কৃষকদের, যা আখ আবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।

টিএসএমসি প্রধান বলেন, থাইল্যান্ডের অধিকাংশ আখ আবাদ বৃষ্টিনির্ভর। ভারতের মতো এখানে সেচ ব্যবস্থা নেই। কারণে অনেক কৃষক এখন আখ চাষ ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।

এদিকে চিনি উৎপাদন কমে যাওয়ার পূর্বাভাসের ফলে খাদ্যপণ্যটি রফতানির প্রাক্কলন কমিয়ে এনেছে থাইল্যান্ড। চলতি মৌসুমে দেশটি থেকে সব মিলিয়ে ৮৫ লাখ টন চিনি রফতানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে গত মৌসুমে রফতানির পরিমাণ ছিল কোটি থেকে কোটি ১০ লাখ টনের মতো।

রাংসিত হিয়াংগ্রাত মনে করেন, ২০২০-২১ মৌসুমে থাইল্যান্ডে চিনি উৎপাদন আরো কমে যেতে পারে। বিশেষ করে দেশটিতে তীব্র খরার মুখোমুখি হয়ে আখ চাষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এখন খরাসহিষ্ণু অন্য ফসল আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। প্রবণতা চলমান থাকলে মৌসুমে চিনি উৎপাদন আরো বড় পরিমাণে কমে যাবে বলে জানান তিনি।

তবে চিনি উৎপাদন কমে গেলেও এটি বাজারে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন টিএসএমসি প্রধান। তার মতে, মৌসুমে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম স্থিতিশীল থাকবে। বিশেষ করে ভারতে খাদ্যপণ্যটির পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ সংকট সৃষ্টি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কারণে চিনির বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫