দুই দেশে বিভক্ত হলেও সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থান একক ও স্বতন্ত্র

প্রকাশ: নভেম্বর ০৯, ২০১৯

সাইফ বাপ্পী

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সঙ্গে সঙ্গে বিভক্ত হয়ে পড়ে সুন্দরবনও। এর একাংশ চলে যায় ভারতের অধিকারে। আরেকাংশ থেকে যায় তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের ভাগে। সেই থেকে বনাঞ্চল বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবনের দুই অংশে অনুসরণ করা হচ্ছে দুই ধরনের কৌশল। সুন্দরবনের মতো নাজুক সংবেদনশীল বাস্তুসংস্থানের ক্ষেত্রে ধরনের দ্বিবিভক্ত কৌশল অনুসরণের চর্চাটিতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুন্দরবনকে একক স্বতন্ত্র একটি বাস্তুসংস্থান হিসেবেই বিবেচনা করা প্রয়োজন। ভারত বাংলাদেশের যৌথ প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়েই বনটির জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কার্যক্রমের বর্ধিত সুফল পাওয়া যেতে পারে।

ল্যান্ডস্কেপ ন্যারেটিভ অব দ্য সুন্দরবন শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ১০ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবন ভারত বাংলাদেশের মধ্যে বিভক্ত। বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রাণী উদ্ভিদের ভাণ্ডার স্বতন্ত্র বাস্তুসংস্থান এলাকাটি টিকে রয়েছে নানা ধরনের ভৌগোলিক প্রাকৃতিক অনুঘটকের মিথস্ক্রিয়ার ওপর ভর করে। এছাড়া সুন্দরবনের আরেকটি গুরুত্ব হলো বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় দশমিক শতাংশের জীবিকা বনের ওপর নির্ভরশীল। বনাঞ্চলটির ক্ষেত্রে যদি যৌথ সহযোগিতামূলক পরিকল্পনা এবং কার্যক্রম নেয়া হয়, তাহলে তা ভারত বাংলাদেশ উভয় দেশের জন্যই বড় ধরনের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।

তবে সুন্দরবন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, দুই দেশের সংস্কৃতি কাছাকাছি হলেও যেমন হুবহু এক নয়, তেমনি সুন্দরবনের দুই অংশের মধ্যেও হুবহু মিল নেই। এমনকি আমাদের বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনকেই লবণাক্ততার দিক থেকে তিনটি ভিন্ন অংশে ভাগ করা যায়, যেখানে এক অংশের সঙ্গে আরেক অংশের মিল পাওয়া যাবে না। অংশগুলোর বাস্তুসংস্থান এমনকি ভেজিটেশনেও (বৃক্ষরাজি) ভিন্নতা রয়েছে। এছাড়া সমন্বিত কার্যক্রমের প্রায়োগিক দিক থেকেও কিছুটা অসুবিধা দেখা যেতে পারে। যেমন যে দেশের প্রভাব বেশি, এক্ষেত্রে সে দেশের প্রাধান্য পাওয়ার এক ধরনের আশঙ্কা থেকে যেতে পারে। বিপরীতে উপেক্ষিত থেকে যেতে পারে স্থানীয়দের বিষয়টি। তবে বনজ সম্পদ আহরণ, ব্যবস্থাপনা অবকাঠামোর দিক থেকে কিছু মাত্রায় এটি করা যেতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্দরবনের ভূমি


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫