২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী চায়ের রফতানি বাজার ছিল ৭৭৬ কোটি ডলারের সমান, যা তার আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ কম। অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর থেকে গত বছর পর্যন্ত চায়ের গড় রফতানি মূল্য কমেছে দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৮ সালে চা রফতানিতে আধিপত্য ছিল এশিয়ার। এ বছর এই অঞ্চলের চা রফতানিকারক দেশগুলো সবচেয়ে বেশি আয় করেছে। এ সময় এশিয়ার দেশগুলোর রফতানি আয় ছিল ৪৭০ কোটি ডলারের কাছাকাছি। আর বৈশ্বিক চায়ের ৬০ দশমিক ১ শতাংশ সরবরাহ করা হয়েছে এশিয়ার দেশগুলো থেকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চা রফতানি করেছে চীন। দেশটি এ সময় বৈশ্বিক মোট চায়ের ২৩ শতাংশ এককভাবে সরবরাহ করেছে। এছাড়া শ্রীলংকা সরবরাহ করেছে ১২ দশমিক ১ শতাংশ এবং ভারতের সরবরাহ ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আর ভিয়েতনাম ২ দশমিক ৯ শতাংশ, জাপান ১ দশমিক ৮, তাইওয়ান ১ দশমিক ৪ ও ইন্দোনেশিয়া ১ দশমিক ৪ শতাংশ চা বিশ্ববাজারে সরবরাহ করেছে। অন্যদিকে আফ্রিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর রফতানি ছিল যথাক্রমে মোট রফতানির ২৩ শতাংশ ও ১৩ দশমিক ২ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম চা রফতানি তালিকায় উত্তর আমেরিকা থেকে ২ দশমিক ১ শতাংশ, মেক্সিকো বাদে ক্যারিবীয় দেশগুলোসহ লাতিন আমেরিকা থেকে ১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, নিউজিল্যান্ডসহ ওশেনিয়া থেকে বৈশ্বিক মোট চায়ের দশমিক ২ শতাংশ সরবরাহ করা হয়।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড টপএক্সপোর্টার ডটকম