ফেসবুক নিজেদের প্লাটফর্মের ব্যবহারকারীদের তথ্য কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়েছে। তুলনামূলক ছোট প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাজার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রাখতে এবং কৌশলে ভুল পথে পরিচালিত করতে ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিশেষ টুল হিসেবে ব্যবহার করেছে এ সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট। ফেসবুকের বিরুদ্ধে কয়েক বছর আগে দায়ের এক দেওয়ানি মামলার প্রকাশিত নথিতে এমন তথ্য দেখা গেছে। খবর এএফপি।
ফেসবুকের ভবিষ্যৎ কোন পথে? গোপনীয়তা লঙ্ঘন, ভুয়া খবর ও তথ্য বেহাত ঠেকাতে ব্যর্থতা এবং ব্যবহারকারীদের তথ্যের অপব্যবহার নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিতর্ক বাড়ছে। এবার অবৈধভাবে নিজেদের প্লাটফর্মের বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারীর তথ্য কাজে লাগিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ এবং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার তথ্য প্রকাশ পেল, যা ফেসবুকের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রকাশিত সাত হাজার পৃষ্ঠার নথিতে দেখা যায়, ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তার দল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ এবং তা নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবসায় অংশীদারদের সঙ্গে বিনিময় করেছে। এর মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়েছে তারা।
এনবিসি নিউজের দাবি, ২০১১ সালে ফেসবুকের বিরুদ্ধে দায়ের এমন একটি দেওয়ানি মামলা সংশ্লিষ্ট ই-মেইল, নোট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি তাদের হাতে রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে বিচারাধীন এ মামলার নথিপত্র জনসম্মুখে প্রকাশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
ফেসবুক অংশীদারদের সঙ্গে ব্যবহারকারীর তথ্য বিনিময় করে প্রতিদ্বন্দ্বীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। প্রতিবেদনে বড় উদাহরণ ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের সঙ্গে তথ্য বিনিময়ের ঘটনা উল্লেখ করা হয়। অ্যামাজন ফেসবুকের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন ক্রয়ের পর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্যে বিশেষ প্রবেশাধিকার পেয়েছিল। অথচ ক্রমবর্ধমান একটি অ্যাপ ‘মেসেজমি’ ফেসবুকের নিয়ম-নীতি মেনে অনুরোধের পরও তথ্যে প্রবেশের অনুমতি পায়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আট বছর আগে ‘সিক্স৪থ্রি’ নামে একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছিল। ‘পিকিনিস’ নামে একটি ব্যর্থ অ্যাপের ডেভেলপার এ স্টার্টআপ। তবে প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ফেসবুকের বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে তাদের অ্যাপ ব্যর্থ হয়েছে। পিকিনিস অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফেসবুক থেকে মানুষের সাঁতার কাটার ছবি খুঁজে নিতে পারতেন। তবে এ অ্যাপের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্যে প্রবেশাধিকার প্রয়োজন ছিল।
গত মাসেও ব্যবহারকারীদের ফেসিয়াল ডাটা অপব্যবহার-সংক্রান্ত