জিতলেই নিশ্চিত নকআউট। এমন সমীকরণে খেলতে নেমে বুন্দেসলিগায় বিপাকে থাকা বায়ার্ন মিউনিখ পেয়েছে সহজ জয়। আরেক ইউরোপিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাস জিতল শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায়। তবে সুযোগ থাকার পরও গ্রুপ পর্বের গণ্ডি পার হওয়ার অপেক্ষা বাড়ল ম্যানচেস্টার সিটির। প্রতিপক্ষের মাঠে আগে গোল করেও জিততে পারেনি ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।
বুন্দেসলিগায় কঠিন এক সময় পার করছে বায়ার্ন। লিগ টেবিলে চার নম্বরে নেমে যাওয়ার মূল্য দিতে গিয়ে চাকরি হারিয়েছে বায়ার্ন কোচ নিকো কোভাচও। তার পরিবর্তে সাময়িকভাবে দলের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী কোচ হানসি ফ্লিক। এমন টালমাটাল অবস্থায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউটে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজেদের মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল অলিম্পিয়াকোসের। সেই চ্যালেঞ্জে দারুণভাবে উতরে গেছে বাভারিয়ান জায়ান্টরা। দ্বিতীয়ার্ধে পাওয়া দুই গোলে গ্রুপ ‘বি’ থেকে সহজেই পরের পর্বে চলে গেল জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
ইউরোপিয়ান মঞ্চে আগের তিন ম্যাচের তিনটিতে জেতার সুখস্মৃতি নিয়ে মাঠে নেমেছিল বায়ার্ন। সে লক্ষ্যে শুরুটা অবশ্য তেমন স্বস্তিদায়ক ছিল না। প্রতিপক্ষের ওপর দাপট দেখিয়েও আদায় করতে পারছিল না কোনো গোল। এদিন বায়ার্ন ৭০ শতাংশ বল দখলে রেখে ২৭টি শট নিয়ে ১১টিই রাখে লক্ষ্যে। বিপরীতে অলিম্পিয়াকোস শটই নিয়েছে মাত্র তিনটি, যার কোনোটিই আবার লক্ষ্যে থাকেনি। গোটা ম্যাচে বায়ার্নের বিপক্ষে ন্যূনতম হুমকি তৈরি করতে পারেনি তারা। তবে গোলমুখ আটকে বায়ার্নকে তারা অপেক্ষায় রাখে ম্যাচের ৬৯ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু গ্রিক প্রতিপক্ষের বাধার দেয়াল ভেঙে ঠিকই জার্মান ক্লাবটিকে গোল এনে দেন পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানডোভস্কি। কিংসলে কোমানের ক্রস থেকে বল পেয়ে এ গোল করেন লেভা। এর ফলে চলতি মৌসুমে ঘরোয়া লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবগুলো ম্যাচে গোল পেয়েছেন তিনি। ১৪ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা এখন ২০। এগিয়ে যাওয়া বায়ার্নকে ম্যাচে দ্বিতীয়বার এগিয়ে দেন ইভান পেরিসিচ। এ দুই গোলই বায়ার্নকে তুলে দিয়েছে নকআউটে। একই গ্রুপের আরেক ম্যাচে দুঃসময় তাড়িয়ে জোড়া গোল করেন সন হিউং-মিন। প্রিমিয়ার লিগে আন্দ্রে গোমেজকে চোটে ফেলে অনুশোচনায় ভুগছেন সন। যে কারণে প্রথম গোলটি উদযাপনও করেননি তিনি। স্মরণ করেছেন গোমেজকে। সব মিলিয়ে এ ম্যাচে টটেনহামের জয় ৪-০ গোলের ব্যবধানে। অন্য দুই গোল আসে লো সেলসো এবং ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের কাছ থেকে।
গ্রুপ ‘ডি’-এর ম্যাচে পয়েন্ট