চীনের মহাপ্রাচীর একটু শুধু প্রাচীর

প্রকাশ: নভেম্বর ০৮, ২০১৯

এম এ মোমেন

২০১২ সালে চায়না স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কালচারাল হেরিটেজ জানায়, আসলে যতটুকু আমাদের চোখে পড়ে, দেয়াল তার চেয়ে অনেক বেশি দীর্ঘ, প্রায় ১৩ হাজার মাইল। সাধারণ ধারণা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার মাইল। প্রকৃতপক্ষে তার চেয়ে আট হাজার মাইল বেশি। বাড়তি অংশের অনেকটাই বিলয়প্রাপ্ত।

এদিকে চীনের পণ্ডিতরাই বলেন, পুরোটার সামান্য অংশ কেবল দেয়াল। মিং রাজত্বকালে বেইজিংসংলগ্ন অংশটুকু দেয়াল মনে করা যায়। বাকি অংশ আর যা- হোক দেয়াল নয়ইট-পাথর বালিতে কোথাও উঁচু মণ্ড, দেখতে উটের কুঁজের মতো, তারপর সমতল কিংবা দুর্গ কেবলই পাহাড়।

যারা চীনের প্রাচীর দেখে এসেছেন, দেয়ালে আরোহণ করেছেন বলে বেশ গর্ব করেন (আমিও তাদের একজন), তারা আসলে বেইজিং নগরীর প্রান্তে খানিকটাই দেখেছেন। শৈশব থেকে জেনে এসেছি বহিঃশত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে দুর্লঙ্ঘনীয় দেয়াল নির্মাণ করেছে চীন। বাস্তবতা ভিন্ন, দেয়াল দুর্লঙ্ঘনীয় নয়, খানিকটা কষ্ট করলেই লঙ্ঘন করা যায়। দেয়ালের কারণে বহিঃশত্রুর চীন আক্রমণ কখনো থেমে থাকেনি। আমার মতো আরো কেউ কেউ শুনে থাকবেন লড়াকু মোঙ্গলদের ঠেকাতে দেয়াল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এটি সম্পূর্ণ বাজে কথা। মোঙ্গলদের উত্থান হয় অষ্টম শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে। এর এক হাজার বছর আগেই দেয়ালের নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যায়।

স্থাপনাটি একক কিছু নয়, বহুর সমাহার। চীনারা এটাকে গ্রেট ওয়াল বলত না, বলতলং সিটিবা লম্বা শহর। চাঁদ থেকে দেখা যায় এই মহাপ্রাচীর, এটি স্রেফ গুজব।

কয়েকটি ভিন্ন ধরনের বিষয়প্রাচীর কৌতুক, প্রাচীর কবিতা এসব নিয়ে এই নিবন্ধ

চীনের দেয়াল নিয়ে হালকা কথন

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫