আঞ্চলিক সহযোগিতাই অর্থনৈতিক উন্নয়নের সোপান

প্রকাশ: নভেম্বর ০৭, ২০১৯

ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ

দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব সুযোগ নিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় মালয়েশিয়াভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ইকোনমিক ফাউন্ডেশন (ডব্লিউআইইএফ) এবং বাংলাদেশের সাউথ অ্যান্ড সাউথ ইস্ট এশিয়ান কো-অপারেশন (সিয়াকো) ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনেআঞ্চলিক সহযোগিতা: অর্থনীতির রূপান্তরশীর্ষক দুই দিনব্যাপী গোলটেবিল বৈঠক গ্লোবাল ডিসকোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত গোলটেবিলে টেকসই উন্নয়ন, হালাল পর্যটনসহ আঞ্চলিক অবকাঠামো, সরকারি-বেসরকারি নানা সহযোগিতাবিষয়ক দিকনির্দেশের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নের সুযোগগুলো সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। গোলটেবিলের চূড়ান্ত অধিবেশনে সিয়াকো আঞ্চলিক অংশীদারিত্বের প্লাটফর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, যা এসব দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করবে। উদ্যোগের মাধ্যমে সার্ক সদস্যভুক্ত বাংলাদেশ মালদ্বীপকে আসিয়ান সদস্যভুক্ত তিন দেশ ব্রুনাই, মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বেসরকারি খাতে অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য সংযুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে ওআইসির দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব ইসলামী দেশগুলো নিজেদের মধ্যে এবং অমুসলিম দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকতে পারে। তাছাড়া মুসলিম দেশে সুকুক ফান্ড বিকাশ হালাল খাবারের বিরাট বাজার রয়েছে। এতে এসব অঞ্চলের অমুসলিম দেশগুলোর জন্যও ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে।

সম্মেলনে সিয়াকো অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ তুলে ধরার পাশাপাশি থেকে উত্তরণের উপায় নিয়েও আলোচনা হয়। গোলটেবিল বৈঠকে জানানো হয়, ২৩ লাখ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ৪২ কোটি ৩০ লাখ জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত সিয়াকো অঞ্চলের সম্মিলিত জিডিপি দশমিক ট্রিলিয়ন ডলার আর বাণিজ্যের পরিমাণ হলো ৭৭ হাজার কোটি ডলার। সিয়াকোর কর্মক্ষম জনশক্তি হচ্ছে ১৯ কোটি ৪০ লাখ আর বার্ষিক জিডিপি দেশভেদে দশমিক থেকে শতাংশ। ইসলামিক অর্থায়ন ২০১৭ সালের লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০২৩ সাল নাগাদ লাখ ৮০ হাজার কোটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্মেলনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ইসলামী অর্থনীতির আকার ক্রমেই বাড়ছে। শরিয়াহভিত্তিক অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিলে তা অঞ্চলের মুসলিম দেশগুলোর অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। পর্যায়ক্রমে সিয়াকো অঞ্চলের দেশগুলোর অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ খাত, পুঁজিবাজার, ব্যাংকিং, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, পর্যটন, খাদ্য সংকট মোকাবেলা, ম্যানুফ্যাকচারিং রিলোকেশন, লজিস্টিক, শিক্ষা দক্ষতা উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগের দরজা খুলে যাবে।

সম্মেলনের উপলব্ধিতে উঠে আসে একটি স্বসম্প্রদায়ের আর্থসামাজিক অর্থনীতি বৃদ্ধির উপায় হচ্ছে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন সার্বিক সহযোগিতা। এর মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিগুলো আঞ্চলিকভাবে আরো সংযুক্ত পরিণত হয় এবং ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইএসডিবি) মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অধীনে অনুঘটকের ভূমিকা নিতে পারে। ধরনের আয়োজন অঞ্চলে আরো নিবিড় বাণিজ্য সংহতকরণ, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করবে। বেসরকারি খাতগুলো নেতৃত্বের জন্য এবং দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে অংশ নেবে। অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোয় বেসরকারি অর্থায়নের পাশাপাশি সরকারগুলো পারস্পরিক সহায়তা সরবরাহ করতে পারে। বলা বাহুল্য, এবারের ঢাকা সম্মেলন আয়োজনে আইএসডিবি এই প্রথম সরাসরি সহযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছে।

ভবিষ্যৎ সুযোগের সম্ভাবনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবপ্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নবম ডব্লিউআইইএফ গ্লোবাল ডিসকোর্সের আয়োজন ছিল ঢাকা সম্মেলনের অন্যতম উদ্যোগ। মালয়েশিয়াতেই অনুষ্ঠিত আগের আটটি ডিসকোর্স এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী যথেষ্ট আগ্রহ

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫