বর্তমানে জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর গৃহস্থালি কাজের স্বীকৃতি নেই। ফলে পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রে নারীর গৃহস্থালি কাজের যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে না। যদিও সন্তান পালনসহ গৃহস্থালি কাজে নারীর যে অবদান, আর্থিক মূল্যায়নে তা মোট জাতীয় আয়ের প্রায় ৪০ ভাগ। তাই নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এ বিশাল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জিডিপিতে তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে রাজনীতিক, গবেষক ও সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল রাজধানীতে ‘রিকগনিশন অব উইমেনস আনঅ্যাকাউন্টেড ওয়ার্ক ইন ন্যাশনাল জিডিপি অ্যান্ড ইনক্লুড ইন জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেটিং’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে কো-চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সানেমের গবেষণা পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা, সানেমের গবেষক জোবায়ের হোসেন।
বক্তারা বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর গৃহস্থালি কাজের স্বীকৃতি মিললে তাদের প্রতি সমাজ ও পরিবারে সম্মান বাড়ার পাশাপাশি বঞ্চনা কমবে। ডে-কেয়ার সেন্টারে রেখে একটি শিশুর দেখভালে একেকটি পরিবারকে মাসে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। কিন্তু যখন মা তার শিশুকে দেখভাল করেন, এজন্যে কোনো অর্থ পান না তিনি। গৃহস্থালির এমন অনেক কাজ আছে, যা নারীরা করেন বিনা পারিশ্রমিকে। এ ধরনের পারিশ্রমিক ছাড়া কাজের আর্থিক মূল্য কত? একটি দেশের অর্থনীতিতে তা কতটা অবদান রাখে?—এসব বিষয় বিবেচনায় আনতে হবে।