হারানোর কিছুই ছিল না, জিতলে অর্জন সীমাহীন। মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের পক্ষেও ছিল না কোনো কিছু। যে পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দল ভারত সফরে গেছে, তাতে ইতিবাচক কিছু আশা করাটাও ছিল দুরূহ। কিন্তু ওই যে সেই ক্লিশে কথন—মেঘের আড়ালে সূর্যের হাসি কিংবা দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে হয়। ক্লিশে শোনালেও বাংলাদেশের জন্য ওইটুকুই ছিল সম্বল। সেই অনুপ্রেরণাটুকুই অবশেষে কাজে লাগালেন মুশফিক-আমিনুলরা। বিরুদ্ধ সময়ের বৃত্ত ভেঙে আদায় করে নিল স্মরণীয় এক জয়। যে জয় দিল্লির গ্যাস চেম্বারের ভেতরও সুযোগ করে দিয়েছে প্রশান্তির নিঃশ্বাস নেয়ার।
এদিকে প্রতিকূল পরিবেশে ম্যাচ খেলার জন্য দুই দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘এমন কঠিন কন্ডিশনে খেলার জন্য দুই দলকে ধন্যবাদ জানাই। শাবাশ বাংলাদেশ।’
টি২০-তে প্রথম হলেও এমন নয় যে ভারতকে আগে হারায়নি বাংলাদেশ। কিন্তু যে প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে বাংলাদেশ জয়টা আদায় করেছে, তা অনেক দিন মনে রাখার মতো। পাশাপাশি এই একটি জয়ে অনেক বিস্মৃতির কফিনে পেরেকও ঠুকে দিলেন মুশফিকরা। সবচেয়ে আনন্দের বিষয়, জয় পাওয়ার ধরনটা। কারো একক নৈপুণ্য কিংবা ক্যামিওতে নয়, এ জয় এসেছে দলগত ঐক্যের শক্তিতে। প্রত্যেকেই অবদান রেখেছেন এ জয়ে। অবশ্য আলাদা করে বলতে হবে মাহমুদউল্লাহর কথা। অনফিল্ড নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে দারুণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি।
সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে ছাড়া ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। দুই পাণ্ডবকে হারানোর সঙ্গে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে যুক্ত হয়েছিল দীপাবলি-উত্তর দিল্লির বিষাক্ত ধোঁয়াও। এমনকি টসের কয়েক ঘণ্টা আগেও শঙ্কা ছিল ম্যাচ হবে কিনা তা নিয়ে। তবে খাদের কিনারায় থাকা বাংলাদেশ দল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল মাঠে নামার। নিজেদের সব হতাশা ভোলার ওটাই যে একমাত্র জায়গা। আর মঞ্চে নেমে শুরু থেকেই নিজেদের শতভাগ ঢেলে দিলেন টাইগাররা। বিপদ যে সবাইকে একত্র করে, তার প্রমাণই যেন আরেকবার দিল বাংলাদেশ দল। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতে ভারতকে চাপে রাখে পেসাররা। প্রথম ছয় ওভারে রান এল ৩৫। এর মাঝে ভয়ংকর রোহিত শর্মাও প্যাভিলিয়নে। পেসারদের তৈরি করা মঞ্চে জ্বলে উঠলেন দুই তরুণ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও আ??