চতুর্থ রাউন্ডে দ্বিতীয় স্তরের দুটি ম্যাচই নিষ্পত্তি হয়েছে এক দিন হাতে রেখেই। কক্সবাজারে বরিশাল বিভাগকে ইনিংস ও ৩২ রানে হারিয়েছে সিলেট বিভাগ। দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে চট্টগ্রামকে ইনিংস ও ৬৪ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো। প্রথম স্তরে ঢাকার বিপক্ষে হার এড়াতে লড়ছে রাজশাহী বিভাগ। শুধু ইনিংস হার এড়ানোর জন্য আরো ১৬৮ রান দরকার রাজশাহীর। তাদের হাতে আছে ৭ উইকেট। প্রথম স্তরের অন্য ম্যাচে আজ চতুর্থ ও শেষ দিনে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তীব্র নাটকীয়তার। জয়ের জন্য খুলনার দরকার ৭৩ রান আর রংপুরের ৫ উইকেট।
মিরপুরে খুলনা ও রংপুরের মধ্যকার ম্যাচটি দুলছে পেন্ডুলামের মতো। খুলনার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে রংপুর বিভাগের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১১ রান। জয়ের জন্য টার্গেট ২০৩ রানের। সহজ টার্গেট হলেও খুলনার ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা কঠিন করে তুলেছেন রংপুরের বোলাররা। গতকাল তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনার সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান। একটা পর্যায়ে খুলনার স্কোরবোর্ডে ছিল ৬৮/৫। এখান থেকে অবশ্য দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মেহেদী হাসান ও জিয়াউর রহমান। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন দুজনে। দুজনই অপরাজিত আছেন ৩০ রানে।
প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে কক্সবাজারে রাজশাহীর বিপক্ষে জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে গেছে ঢাকা বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ২৪৫ রানে পিছিয়ে থেকে গতকাল তৃতীয় দিনের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান সংগ্রহ করেছে রাজশাহী। ৪১ রানে অপরাজিত থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন জুনায়েদ সিদ্দিক। এর আগে আগের দিনের ২৮৪/৪ নিয়ে খেলতে নেমে ৭ উইকেটে ৪৭৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা বিভাগ। দলটির হয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তাইবুর রহমান (১০২), শুভাগত হোম (১০৪) ও নাদিফ চৌধুরী (১০১*)।
দ্বিতীয় স্তরের দুটি ম্যাচেই বোলারদের রাজত্বে খেলা শেষ হয়েছে মাত্র তিন দিনে। কক্সবাজারে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ১৬০ রানে পিছিয়ে থেকে বরিশালের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়েছে মাত্র ১২৮ রানে। ৩৭ রান করে এই ইনিংসে দলটির সর্বোচ্চ স্কোরার সোহাগ গাজী। বাঁহাতী স্পিনার নাসুম খান মাত্র ৫ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বরিশালের হারকে ত্বরান্বিত করেন। তবে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন পেসার এবাদত হোসেন। দ্বিতীয় স্তরের অন্য