নিম কোটেড ইউরিয়া

কমবে সার আমদানি বাড়বে ফসল উৎপাদন

প্রকাশ: নভেম্বর ০৫, ২০১৯

সাইদ শাহীন

দেশে গত কয়েক বছরে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বেড়েছে। এর মধ্যে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইউরিয়া সারের ভূমিকা বেশি বলে প্রতীয়মান। দেশে প্রতি বছর গড়ে ২৪-২৬ লাখ টন ইউরিয়া সার ব্যবহার হচ্ছে। তবে সারটির প্রয়োজন যেমন রয়েছে, তেমনি ক্ষতির দিকও রয়েছে। কেননা ইউরিয়া সার ফসলের জমিতে ক্ষণস্থায়ী এবং গাছের খাদ্য হিসেবে তুলনামূলক কম পরিমাণে ক্রিয়াশীল কার্যকর। বিধায় বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কৃষিবিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ফসলের মাঠ থেকে ইউরিয়া সার অপচয় হয়। যা ভূগর্ভস্থ পানি ভূউপরিস্থ বায়ুমণ্ডলকে দূষিত করে। কীভাবে ইউরিয়া সারের অপচয় রোধ করে গাছের খাদ্য হিসেবে তার দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া গেলেও তা কৃষকবান্ধব নয় বিধায় জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে নিম কোটেড ইউরিয়া অর্থাৎ নিমবীজ থেকে সংগৃহীত তেলের পাতলা আবরণযুক্ত ইউরিয়া সার।

প্রায় ৭০ বছর আগে অ্যামোনিয়াম সালফেট প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষিতে রাসায়নিক সার ব্যবহারের সূচনা হয়। তবে সবুজ বিপ্লবের সূচনালগ্ন থেকে ইউরিয়াসহ অন্যান্য রাসায়নিক সার ব্যবহার বাড়তে শুরু করে। রাসায়নিক সার ফসল উৎপাদনের চালিকাশক্তি হিসেবে এখন বিবেচিত। অবশ্য পরিমাণের দিক দিয়ে ইউরিয়া সারের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে ইউরিয়া সার ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ২৪-২৬ লাখ টন। ১০ লাখ টন দেশে উৎপাদন হলেও বাকি প্রায় ১৫ লাখ টন বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আবার মোট ইউরিয়া সারের প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ শুধু ধানেই ব্যবহার করা হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫