আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় প্রদেশ বুয়েন্স আয়ার্স। এ অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদন হয়। কিন্তু প্রদেশটিসহ অন্যান্য গম উৎপাদন অঞ্চলে টানা কয়েক মাস ধরে বৈরী আবহাওয়ায় এবার উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নিম্নমান ও উৎপাদন হ্রাসের জেরে খাদ্যশস্যটির রফতানির ওপরও প্রভাব ফেলবে; যে কারণে এরই মধ্যে বুয়েন্স আয়ার্স গ্রেইন এক্সচেঞ্জ নিম্নমানের উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সব মিলিয়ে বৈরী আবহাওয়ায় চাপের মুখে রয়েছে দেশটির গম উৎপাদন ও রফতানি খাত। খবর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস।
গ্রেইন এক্সচেঞ্জ তাদের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলেছে, বৈরী আবহাওয়ায় বুয়েন্স আয়ার্স প্রদেশ খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য প্রধান গম উৎপাদন অঞ্চলেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এ কারণে এবার গমের উৎপাদন কমে যেতে পারে। পাশাপাশি খাদ্যশস্যটির রফতানিও কমে যাবে।
রোসারিও বোর্ড অব ট্রেডের তথ্য অনুযায়ী, আর্জেন্টিনার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা দুই-তিন মাস খরা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এতে সান্তা ফি, বুয়েন্স আয়ার্স ও কর্ডোবার মতো অঞ্চলে গমের উৎপাদন ১০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
উৎপাদন কমে যাওয়ার শঙ্কার ফলে রোসারিও বোর্ড অব ট্রেড ২০১৯-২০ মৌসুমে (ডিসেম্বর-নভেম্বর) আর্জেন্টিনার গম উৎপাদন প্রাক্কলন কমিয়ে এনেছে। আগের প্রাক্কলনে ২ কোটি ১৫ লাখ টন গম উৎপাদনের কথা জানালেও প্রতিষ্ঠানটি এখন বলছে, মৌসুম শেষে সব মিলিয়ে দেশটিতে দুই কোটি টন গম উৎপাদন হতে পারে। একইভাবে বুয়েন্স আয়ার্স গ্রেইন এক্সচেঞ্জও তাদের আগের প্রাক্কলন থেকে সরে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি আগে ২ কোটি ১০ লাখ টন গম উৎপাদনের লক্ষ্য ধরলেও এখন বলছে, মৌসুম শেষে মোট উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ৯৮ লাখের কাছাকাছি।
এর আগে আগস্টে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) তাদের বৈদেশিক কৃষিবিষয়ক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৯-২০ মৌসুমে আর্জেন্টিনায় সব মিলিয়ে ২ কোটি ৮ লাখ টন গম উৎপাদন হতে পারে। দেশটির কৃষকরা উচ্চ উৎপাদনশীল পদ্ধতি অবলম্বন করায় দেশটির উৎপাদন বাড়তে পারে বলে জানায় মার্কিন সংস্থাটি।
তবে দীর্ঘদিন ধরে শুষ্ক অবস্থা বিরাজ করলেও সম্প্রতি বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর পরও এটি ব্যাহত হওয়া উৎপাদন পুষিয়ে দিতে সক্ষম হবে না বলে মনে করছে বুয়েন্স
আয়ার্স এক্সচেঞ্জ।