গত অক্টোবরে মাসভিত্তিক হিসাবে ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ তুলা ও মাংস রফতানি করেছে ব্রাজিল। গত শুক্রবার প্রকাশিত পণ্য রফতানির সরকারি উপাত্তে এমন তথ্যই দেয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপাত্ত অনুযায়ী, অক্টোবরে দেশটি তুলা রফতানি করেছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৪০০ টন। একই মাসে মাংস রফতানি করেছে ১ লাখ ৬০ হাজার ১০০ টন। খবর রয়টার্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে তুলার উচ্চমূল্য এবং বাণিজ্যযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন তুলা আমদানিতে চীন ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় সুবিধা হয়েছে ব্রাজিলের। দেশটিতে তুলা উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। চলতি বছর তুলা রফতানি গত বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেড়ে ১৭ লাখ টন হবে বলে আশা করছে দেশটির তুলা রফতানিকারকদের সমিতি আনিয়া। যেখানে সরকার আশা করছে, এ বছর উৎপাদন হবে ২৬ লাখ ৪০ হাজার টন তুলা। গত বছর উৎপাদন ছিল ২০ লাখ টন।
২০১৪ সালের পর গত বছর তুলার দাম ছিল সর্বোচ্চ। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক চাহিদার কারণে এ সময় নিউইয়র্কে দাম প্রতি পাউন্ড ৯২ সেন্ট পর্যন্ত ওঠে। বর্তমানে দাম কমে পাউন্ডপ্রতি ৭২ সেন্টে নেমে এলেও ব্রাজিলে কৃষকরা এরই মধ্যে চলতি ও আগামী বছরের জন্য তাদের বিক্রির নিশ্চয়তা পেয়েছেন।
তুলা রফতানিতে শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পরই ব্রাজিলের অবস্থান। উৎপাদনের দিক থেকেও প্রথম সারিতে দেশটি। তুলা সংগ্রাহক যন্ত্র সারা বিশ্বে রয়েছে মাত্র ৮০০টি। এর মধ্যে ১৫০টিই ব্যবহূত ব্রাজিলে।
আর বিশ্বের বৃহত্তম মাংস রফতানিকারক দেশ ব্রাজিল। গত সেপ্টেম্বরে ব্রাজিলের ২৫টি মাংস প্যাকেজিং প্লান্টকে লাইসেন্স দিয়েছে চীন। ফলে চলতি বছর দেশটিতে ব্রাজিলের মাংস রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে। যেখানে সোয়াইন ফ্লুসহ নানা রোগবালাইয়ে গবাদি পশুর খামার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এশিয়ার বৃহত্তম আমিষ ভোক্তা দেশ চীন মাংস সংকটে ভুগছে।