অ্যান্টি-ডাম্পিং বিবাদ নিয়ে ডব্লিউটিওর রায়

৩৬০ কোটি ডলার মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপ করতে পারবে চীন

প্রকাশ: নভেম্বর ০৩, ২০১৯

বণিক বার্তা ডেস্ক

অ্যান্টি-ডাম্পিং আইন না মানায় ৩৬০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে চীন শুল্ক আরোপ করতে পারবে বলে রায় দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) ওয়াশিংটন চীনা পণ্যে অ্যান্টি-ডাম্পিং আইন মানছে না মর্মে ২০১৩ সালে ডব্লিউটিওতে অভিযোগ করেছিল বেইজিং। যদিও বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর অনেক আগেই করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রায় দিয়েছে ডব্লিউটিও, তবুুুও চলমান বাণিজ্য আলোচনায় এটি প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর ব্লুমবার্গ।

জেনেভাভিত্তিক সংস্থাটির ওয়েবসাইটে রায়-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, যে ক্ষতিপূরণ রায় দেয়া হয়েছে তা ডব্লিউটিওর তৃতীয় সর্বোচ্চ। তবে চীন যে পরিমাণ দাবি করেছিল, তার অর্ধেক। চীন ৭০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপর জন্য সংস্থাটির কাছে আবেদন করেছিল। বেইজিংয়ের অভিযোগ ছিল, তাদের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চাপানো কিছু অ্যান্টি-ডাম্পিং আইন অবৈধ।

এখনকার ডব্লিউটিওর আইন অনুযায়ী যতটা শুল্ক আরোপ করা যায়, রায়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর তার থেকে বেশি শুল্ক আরোপ করতে পারবে চীন। এছাড়া পছন্দমতো মার্কিন পণ্য খাতে শুল্ক আরোপ করার বিষয়ে স্বাধীনতা পাবে দেশটি।

ডব্লিউটিওর তিন সদস্যের সালিশি প্যানেল বলছে, অ্যান্টি-ডাম্পিং নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের কারণে বছরে ৩৫৭ দশমিক কোটি ডলার মূল্যমানের বাণিজ্য হারিয়েছে চীনা রফতানি। চীন এখন একই পরিমাণ মার্কিন পণ্যে প্রতি বছর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের জন্য সবুজসংকেত পেতে ডব্লিউটিওর ডিসপিউট সেটলমেন্ট বডির কাছে আবেদন করতে পারবে।

কীভাবে মার্কিন প্রশাসন ডাম্পিং ক্ষতি নির্ধারণ করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল চীন। ডাম্পিং তখনই তৈরি হয়, যখন উৎপাদকরা একটি পণ্য অন্য দেশে রফতানি করে স্থানীয় মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে।

যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস, ধাতু খনিজসহ ১৩টি আমদানীকৃত চীনা পণ্যে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়ে ২০১৩ সালে প্রথম অভিযোগ দায়ের করে চীন এবং ২০১৬ সালে ডব্লিউটিওর একটি প্যালেন বেইজিংয়ের পক্ষে রায় দেয়। তর্কের মূলে ছিল অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহার করা পদ্ধতি নিয়ে। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, শুল্ক হিসাব করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিতজিরোয়িংপদ্ধতির ব্যবহার।

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১৮ মাস ধরে চলা বাণিজ্যযুদ্ধের বেশ আগেই মামলা করা হয়েছিল। বাণিজ্য বিবাদের জেরে দুই দেশে একে অন্যের প্রায় ৫০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছে। তবে সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য বিবাদ মেটাতে একটি চুক্তির প্রথম পর্যায় প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে দুই দেশ। ঠিক এমন সময় রায় বেইজিংয়ের হাতে একটি নতুন আইনসিদ্ধ অস্ত্র তুলে দিল। চুক্তির পর্যায়ে যদি ট্রাম্প প্রশাসন পিছু হটে, তবে বেইজিং এটি ব্যবহার করতে পারবে।  

অন্যদিকে রায় নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষুব্ধ করবে। সম্প্রতি ডব্লিউটিওর বিবাদ মীমাংসা পদ্ধতি নিয়ে বেশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির আপিল বিভাগের চূড়ান্ত তিন বিচারকের মধ্যে দুজনের মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে এবং নতুন নিয়োগ আটকে দিয়েছে ওয়াশিংটন। ট্রাম্প প্রশাসন রায়কে সংস্থাটির বিবাদ মীমাংসা পদ্ধতির দুর্বলতার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার দেশটির ইস্পাত খাতের অ্যান্টি-ডাম্পিং আইনজীবী ছিলেন এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরেজিরোয়িং পদ্ধতিরপক্ষে কথা বলে আসছেন। আইন প্রতিষ্ঠান কিং অ্যান্ড সপ্লডিংয়ের পার্টনার স্টেফেন ভন বলেন, ডব্লিউটিওকে ব্যবহার করে চীনের মতো দেশগুলো

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫