আগামী ৩০ বছরে এশিয়ার বাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার দ্বিগুণ হওয়ার পূর্বাভাস মিলেছে। এ সময় এ অঞ্চলে গ্যাসের চাহিদা পূরণে আমদানিও বাড়বে সমান হারে। মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইআইএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ক্রোন ডটকম।
ইআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এশিয়ায় গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ১২ হাজার ঘনফুটে দাঁড়াবে। এ সময় এ অঞ্চলের চাহিদা পূরণে দৈনিক গ্যাসের সরবরাহ বেড়ে পাঁচ হাজার ঘনফুটে পৌঁছবে বলে মনে করছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
ইআইএ মনে করছে, আগামীতে এ অঞ্চলে গ্যাসের সরবরাহ আরো বাড়বে। বিশেষ করে ওইসিডি-বহির্ভূত দেশগুলোর অতিমাত্রায় আমদানিনির্ভরশীলতার কারণে বাইরের দেশগুলোর গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। অন্যদিকে ২০৫০ সালের মধ্যে এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহারের দিক থেকে শীর্ষে থাকবে চীন। ওইসিডি-বহির্ভূত দেশগুলোর মধ্যে চীনে ২০১৮ সালের তুলনায় এ সময়ের মধ্যে গ্যাসের ব্যবহার তিন গুণ বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
এশিয়ার বাজারে গ্যাস ব্যবহারের এমন পূর্বাভাসে এ অঞ্চলে গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধিতে প্রতিযোগিতা বাড়বে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এশিয়ার বাজারে গ্যাস সরবরাহকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখা হয়। কারণ দেশটির এলএনজি রফতানিকারকরা এ অঞ্চলে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে কঠোরভাবে উন্নয়নকাজ করে যাচ্ছে। শেল (পাথরের ভূমি থেকে উত্তোলিত গ্যাস) খাত থেকে দেশটির গ্যাসের উত্তোলন বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ার বাজারে রফতানি বাড়াতে টেক্সাস গালফ কোস্ট রফতানি সুবিধাও বাড়িয়েছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এমন লক্ষ্য পূরণে বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও কাতারকে। কারণ দেশ দুটির এলএনজি খাত এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। একই সঙ্গে ৫০ বছরের মধ্যে এশিয়ার গ্যাস ফিল্ড থেকে উত্তোলন দ্বিগুণের জন্য দেশ দুটি বিনিয়োগও বাড়িয়ে চলেছে। বাড়তি চাহিদা মেটাতে আমদানি বাড়ানোর আভাস দিয়েছে ইআইএ।