ব্যয় বাড়ালেই কি প্রবৃদ্ধিতে ফিরবে জার্মানি?

প্রকাশ: নভেম্বর ০১, ২০১৯

বণিক বার্তা ডেস্ক

সমস্যা চারপাশ থেকে ঘিরে ধরছে ইউরোজোনের অর্থনীতিকে। এরই মধ্যে মন্দা পরিস্থিতিতে পড়েছে  জোনটির সবচেয়ে বড় অর্থনীতি জার্মানি। 

সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বার্লিন বেশি পরিমাণ আর্থিক খাত উন্মুক্ত করবে ব্যয় বাড়াবে কিনা, তা নিয়ে চলমান তর্ক আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটি অবকাঠামো খাতে ব্যয় বাড়াবে কিনা, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আকারে হাজির হয়েছে।

চলমান আবহাওয়ায় দেশটিব্ল্যাক জিরোহিসেবে পরিচিত বাজেটে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার নীতি অনুসরণ করবে কিনা এবং ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রেডেট ব্রেকহিসেবে পরিচিত সংশ্লিষ্ট আইনি কড়াকড়ির দিকে পা বাড়াবে কিনা, এসব প্রশ্নও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জোনটির প্রবৃদ্ধি পরিসংখ্যান থেকে জার্মানির অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়ার কিছু আভাস পাওয়া যায়। তবে বার্লিনের অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়ার সম্পূর্ণ চিত্র পেতে দেশটির তৃতীয় প্রান্তিকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, যা বের হতে দুই সপ্তাহ লাগবে।

এদিকে পুরো জোনটির মন্দায় পড়ার ঝুঁকিতে না থাকলেও জার্মানির অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়ার ক্ষতি এড়াতে পারবে না প্রতিবেশী দেশগুলো। বিরাজমান প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় নীতিনির্ধারকরা, বিশেষত জার্মান সরকার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) কী করতে পারে, সেটাই মুখ্য বিষয়।

ইসিবি এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্যাংকটি সুদহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নির্ধারণ করেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি পরিমাণগত সহজীকরণ হিসেবে পরিচিত নীতি পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে। অন্যদিকে নতুন সৃষ্ট অর্থের মাধ্যমে আর্থিক সম্পদ ক্রয় করছে ইসিবি।

ইসিবি পরিস্থিতি সামলাতে উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো নেয়া সত্ত্বেও তা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে নিঃসংশয় হওয়া যাচ্ছে না। তবে মুদ্রানীতির ক্ষেত্রে ব্যাংকটি নিজেদের সাধ্যমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন অনেক অর্থনীতিবিদ।

কেন্দ্রীয়ভাবে ইসিবির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সত্ত্বেও জোনটির প্রতিটি সরকারের আরো বেশি করণীয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অর্থনীতিবিদরা। একই মত পোষণ করেন ইসিবির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাঘি এবং আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাংকটির নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাওয়া ক্রিস্টিন লাগার্দে।

গত সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে লাগার্দে বলেন, ইউরোজোনের কিছু দেশ ব্রডব্যান্ড অবকাঠামো উন্নত করতে সরকারি ব্যয় কর বাড়ানোর মতো নিজস্ব কিছু আর্থিক পরিসর সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নিতে পারে। যেসব দেশ মন্দায় পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, সেগুলো নিজেদের সরকারি ব্যয় সুনির্দিষ্ট করে নিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

লাগার্দের সুপারিশ মেনে চলার সাধ্য কোন কোন দেশের রয়েছে, সে কথা অবশ্য তিনি উল্লেখ করেননি। তবে জোনটির অধিকাংশ দেশের জন্য এটিই বাস্তবতা বলে জানিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে উজ্জ্বল উদাহরণ জার্মানি। ২০১২ সালের পর থেকে ব্যয়ের চেয়ে নিজেদের কর-রাজস্ব বেশি হওয়ায় দেশটির সরকারি আর্থিক খাতে উদ্বৃত্ত রয়েছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাম্প্রতিক বৈশ্বিক আর্থিক পূর্বাভাসের মুখবন্ধে সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, জার্মানির মতো অর্থনীতির নেতিবাচক ঋণহারের


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫