সিসার উপস্থিতি

হলুদ রফতানি বন্ধের নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের

প্রকাশ: অক্টোবর ৩১, ২০১৯

জেসমিন মলি

বাংলাদেশ থেকে হলুদ রফতানি সীমিতকরণ বা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। হলুদের গুঁড়োয় মাত্রাতিরিক্ত সিসা বা লেড ক্রোমেটের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এরই মধ্যে -সংক্রান্ত একটি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, হলুদের রঙ উজ্জ্বল করতে কাঁচা হলুদ শুকানোর আগেই কৃষক ব্যবসায়ীরা এতে অতিরিক্ত মাত্রায় সিসা ব্যবহার করছেন বলে তথ্য পায় সরকার। বিষয়টি প্রমাণ হওয়ার পর জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য রফতানি বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত -সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ১৫ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব . মো. জাফর উদ্দিনের কাছে পাঠানো হয়।

বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশ থেকে হলুদের রফতানি সীমিত বা বন্ধ করা যেতে পারে। কিংবা শুধু সরকার থেকে সনদ পাওয়া সাপেক্ষে কোনো লট রফতানির জন্য নির্ধারণ করা যেতে পারে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে হলুদ প্রসেসিংয়ের আগে লেড বা সিসা ব্যবহারজনিত কারণে ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং সমস্যা উত্তরণে করণীয় শীর্ষক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি সায়েন্স জার্নাল আইএফএল সায়েন্স, অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক এবিসি নিউজ এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়াশিংটন পোস্টে বাংলাদেশের হলুদে ক্ষতিকারক সিসার উপস্থিতি নিয়ে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ করা হয়। বাংলাদেশের কিছু মসলা প্রক্রিয়াজাতকারী বা ব্যবসায়ী হলুদের রঙ উজ্জ্বল করতে শিল্পে ব্যবহূত ক্ষতিকারক সিসা ব্যবহার করছে। হলুদে লেড ক্রোমেট পিগমেন্টের ব্যবহারে ব্যাপক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া অধিক মাত্রায় সিসার উপস্থিতির ফলে বাংলাদেশের মসলা রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ফলাফল পরে এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, দেশের কৃষক ব্যবসায়ীরা হলুদের ধূসর রঙ গাঢ় করতে শুকানোর আগেই অতিরিক্ত মাত্রায় সিসা ব্যবহার করছে। প্রক্রিয়ায় লেড ক্রোমেট ব্যবহার করা হয়, যা একটি শক্তিশালী নিউরোটক্সিন। শিল্পে অনুন্নত দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের শরীরে সিসার পরিমাণ সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫