বাসি-পচা মাংস বিক্রির দায়ে জরিমানা এবং গবাদি পশু জবাইয়ের ৪ ঘণ্টার মধ্যে মাংস বিক্রির নির্দেশ দেয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের মাংস ব্যবসায়ীরা। গতকাল থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘটের কারণে শহরের বড়বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে মাংস বিক্রি হয়নি। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে ক্রেতাদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত রোববার সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার মোহাম্মদ রায়হানের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বাসি-পচা মাংস বিক্রির দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও বিপুল পরিমাণ মাংস নষ্ট করা হয়। এর প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। এ কারণে মাংস কিনতে বাজারে এসে ক্রেতাদের ফিরে যেতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকুল সেখ বলেন, তিনজন ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং প্রায় ৫০ হাজার টাকার মাংস নষ্ট করা হয়েছে। কেন এবং কী কারণে এটা করা হয়েছে, তা আমরা বুঝি না। এছাড়া গরু-ছাগল জবাইয়ের ৪ ঘণ্টার মধ্যে সব মাংস বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে—এটা কীভাবে সম্ভব। একটি গরুর কমপক্ষে চার থেকে সাত মণ মাংস হয়, সেই মাংস ৪ ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি করা কি সম্ভব হবে? আমরা জেলার সব ব্যবসায়ীকে নিয়ে বৈঠক করেছি। যখন তখন ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জরিমানা আদায় বন্ধ এবং গরু-ছাগল জবাইয়ের ৪ ঘণ্টার মধ্যে সব মাংস বিক্রির নির্দেশ প্রত্যাহার করা না হলে আমরা ধর্মঘট চালিয়ে যাব।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান ভুইয়া বলেন, যাদের জরিমানা করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বাসি-পচা মাংস বিক্রির অভিযোগ ছিল। মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে আইন ও নিয়ম মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করা উচিত। এ বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে আলোচনা সভা, কর্মশালাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।