জল সবুজে ঢাকা

প্রকাশ: অক্টোবর ৩১, ২০১৯

সুপ্রভা জুঁই

রাজধানী ঢাকাকে বসবাসের যোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এরই অংশ হিসেবেজল সবুজে ঢাকাপ্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা নগরীর ৩১টি পার্ক খেলার মাঠকে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে।জল সবুজের ঢাকাহলো বস্তুত এমন একটি উন্নয়ন প্রকল্প, যেখানে নানা বুদ্ধিদীপ্ত গোষ্ঠী এবং সাধারণ মানুষের প্রচেষ্টার সমন্বয়ে পার্ক, খেলার মাঠ ভূদৃশ্যাবলির উন্নতি সাধিত হবে; যা ঢাকাবাসীর যথাযথ পরিচয় বহনে সক্ষম। এই চিন্তক গোষ্ঠীর মাঝে আছেন সর্বস্তরের নাগরিক, স্থপতি, পরিকল্পনাবিদ, প্রকৌশলী এবং জনপ্রতিনিধিদের একটি বিশাল দল; যারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই উন্নয়ন এবং সংরক্ষণ প্রকল্পে কাজ করে যাচ্ছে। কাজ শেষে মাঠগুলো অধিবাসীদের কাছে হস্তান্তর করাই হলো দলের মূল উদ্দেশ্য, কেননা তারাই প্রকল্পের মূল অধিকারী। জল সবুজে ঢাকার মূল লক্ষ্য হলো সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা। তাদের সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি তাদের বিনোদনের জায়গাগুলোকে মেরামত করে পুনরায় ব্যবহারোপযোগী করে তোলা। বাংলাদেশের প্রায় ৭০ জন স্থপতির এক বিশাল দল প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত। প্রকল্পের প্রধান স্থপতি রফিক আজম সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন ১৭টি পার্ককে। এর মধ্যে যে পার্কটি সবার আগে জনমানুষের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে, সেটি হলো আব্দুল আলিম খেলার মাঠ। এই মাঠটি নিয়েই আজকের প্রবন্ধটি।

মাঠ পরিচিতি

বাস্তবায়নে: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন

প্রধান স্থপতি: মো. রফিক আজম

প্রকল্প পরিচালক: অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান: সাতত্য, জেপিজেড জেভি

সহযোগী স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান: কিউব ইনসাইড লিমিটেড

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান: কেটিএ-এটি (জেভি)

চার বিঘা আয়তনের শহীদ হাজী আব্দুল আলিম ঈদগাহ মাঠটি আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী রোডে অবস্থিত। মাঠের উত্তর দিকে ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী মন্দির, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে একটি মসজিদ, পূর্বদিকে ওরিয়েন্ট স্পোর্টিং ক্লাব রয়েছে। সংস্কারের আগে মাঠটি ট্রাক ভ্যান এসবের পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হতো। মাঠে খেলাধুলার উপযুক্ত পরিবেশ ছিল না। চারপাশে উঁচু সীমানা দেয়া, তার উপরে গ্রিল দিয়ে ঘেরা থাকায় সবার পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব হতো না। বয়স্কদের জন্য হাঁটাচলার বা বিশ্রাম নেয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না, ছিল না ছোটদের খেলাধুলার জন্য উপযুক্ত সরঞ্জাম পরিবেশ। মাঠের পানি নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। সর্বোপরি জনসাধারণের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে থাকত মাঠটি। জমে থাকা পানিতে জন্মাত মশা অন্যান্য পোকামাকড়।

ডিজাইন

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫